Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শাহজালালে তৎপর এপিবিএন, কমছে সোনার চোরাচালান


১১ অক্টোবর ২০১৯ ১০:২২

ঢাকা: গত তিন বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোনার চোরাচালান কমেছে। ২০১৭ সালে ১০৮ কেজি ৯৭০ গ্রাম সোনা জব্দ করা হয়। এর পরের বছর জব্দ করা হয় ৭১ কেজি ৭০ গ্রাম সোনা। এ বছরের আট মাসে সোনা জব্দ করা হয়েছে মোট ৪২ কেজি ২০০ গ্রাম।

মোট ৩২ মাসে অর্থাৎ ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত সময়ে ২২২ কেজি ২শ গ্রাম সোনা জব্দ করেছে এয়ারপোর্ট আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।

বিজ্ঞাপন

আমর্ড পুলিশের দাবি, বিগত অন্যান্য সময়ের তুলনায় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া এপিবিএন সদস্য আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয়ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। ফলে চোরাচালানিরা পার পাচ্ছে না।

এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ৫ কেজি ৫৬০ গ্রাম, ফেব্রুয়ারিতে ৮ কেজি ৬৫০ গ্রাম, মার্চে ১১ কেজি ২৭০ গ্রাম, এপ্রিলে ১৫ কেজি ৯শ গ্রাম, মে মাসে ১৪ কেজি ৫৮০ গ্রাম, জুনে ৯ কেজি ৬২০ গ্রাম, জুলাইতে ১০ কেজি ৯শ গ্রাম, আগস্টে ৬ কেজি ১শ গ্রাম, সেপ্টেম্বরে ১ কেজি ৭শ গ্রাম, অক্টোবরে ৬ কেজি ৮শ গ্রাম, নভেম্বরে ৯ কেজি ৬শ গ্রাম, ডিসেম্বরে ৮ কেজি ৮৩০ গ্রাম। মোট ২০১৭ সালে ১০৮ কেজি ৯৭০ গ্রাম সোনা জব্দ করা হয়েছে।

২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ২১ কেজি ৯৩০ গ্রাম, মে মাসে সাড়ে ৪ কেজি, জুনে ২কেজি, জুলাইয়ে ৭ কেজি ৭৫০ গ্রাম, আগস্টে ৭ কেজি ৮শ গ্রাম, সেপ্টেম্বরে ৪ কেজি ৪শ গ্রাম, অক্টোবরে ৩ কেজি ২৫০ গ্রাম, নভেম্বরে ৮ কেজি এবং ডিসেম্বরে ১১ কেজি ৫৪০ গ্রাম। মোট ২০১৮ সালে ৭১ কেজি ১৭০ গ্রাম সোনা জব্দ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে চলতি বছরের জানুয়ারি হতে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ২০ কেজি ২শ গ্রাম, মে মে মাসে ৪ কেজি ২শ গ্রাম, জুন মাসে ৫ কেজি ৪১০ গ্রাম, জুলাই মাসে ৯ কেজি ৭৬০ গ্রাম ও আগস্ট মাসে ২ কেজি ৪৫০ গ্রাম। অর্থাৎ চলতি ৮ মাসে ৪২ কেজি ২শ গ্রাম সোনা জব্দ করেছে এপিবিএন।

২০১০ সালের পয়লা জুন ১ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়ে গঠন করা হয় বিমানবন্দর আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। আর এ জনবল দিয়ে বর্তমান সময়ে বিমানবন্দরে আগত যাত্রীদের সেবা দিচ্ছে যাচ্ছে পুলিশের এই বাহিনী।

এ বিষয়ে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন শুরু থেকেই সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছে।  সবার সহযোগিতায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বিমানবন্দর আইকাও নিরাপত্তা সূচকে অনেক দূর এগিয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে থার্ড টার্মিনালের যাত্রা শুরু হলে বিদ্যমান অবকাঠামোগত শূন্যতা পূরণ হবে। আগামীতে নিরাপত্তা ক্যাটাগরি-১ অর্জিত হবে বলে আমরা আশা করি।’

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর