কাদেরের হৃদযন্ত্রের কর্মক্ষমতা উন্নতির দিকে
১১ অক্টোবর ২০১৯ ১২:৫০
ঢাকা: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অপারেশন পরবর্তী শারীরিক অবস্থার আশানুরূপ উন্নতি হয়েছে। তার হৃদযন্ত্রের কর্মক্ষমতাও আগের চেয়ে বাড়ছে।
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে কাদেরের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তার স্বাস্থ্য নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক দলের প্রধান ডা. ফিলিপ কোহ।
ডা. ফিলিপ কোহ’কে উদ্ধৃত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (উন্নয়ন) ডা. আবু নাসার রিজভী শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সিঙ্গাপুর থেকে টেলিফোনে এসব তথ্য দেন।
ডা. রিজভী জানান, বাইপাস সার্জারি শেষে দ্বিতীয়বারের মতো আজ (শুক্রবার) সকালে জনাব কাদেরের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল রয়েছে এবং প্রতিটি প্যারামিটার আশানুরূপ উন্নতি হয়েছে।
জনাব কাদেরের হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বেড়েছে এবং শতকরা হারে তা ক্রমশ উন্নতির দিকে যা অত্যন্ত ইতিবাচক বলে জানান ডা. রিজভী।
এসময় মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে জনাব কাদেরের সহধর্মিণী এডভোকেট ইসরাতুন্নেছা কাদের, সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোস্তাফিজুর রহমানসহ দূতাবাস কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
চেকআপ শেষে কাদের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রধানমন্ত্রীর সামরিক-সচিব মেজর জেনারেল জয়নাল আবেদীন’কে দেখতে যান এবং তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে দশটায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে করে ওবায়দুল কাদের দেশে ফিরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২ মার্চ ভোররাতে ঢাকায় নিজ বাড়িতে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের। সেখানে দ্রুত এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদপিণ্ডের রক্তনালিতে তিনটি বড় ব্লক ধরা পড়ে। এর মধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের (রিং পরানো) মাধ্যমে দ্রুত অপসারণ করেন চিকিৎসকরা। ৪ মার্চ বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেওয়া হয়। দীর্ঘ দুই মাস ১১ দিন পর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে ১৫ মে সন্ধ্যায় দেশে ফিরে আসেন ওবায়দুল কাদের।