Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সমন্বিত অংশগ্রহণে জাতীয় বস্ত্র দিবস উদযাপন হবে


১৫ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৩৯

ঢাকা: বস্ত্রখাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের সমন্বিত অংশগ্রহণে বস্ত্র দিবস-২০১৯ সফলভাবে উদযাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক)।

সোমবার ( ১৪ অক্টোবর) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০১৯’ প্রথমবারের মত সফলভাবে উদযাপনের উদ্দেশ্যে আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘বস্ত্রশিল্প বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের একটি গুরুপ্তপূর্ণ খাত। বর্তমান সরকার ‘ভিষণ-২০২১, অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে বস্ত্রখাতের রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় বস্ত্রখাতের সঠিক বিকাশ ও সুরক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের করণীয় নির্ধারণ করে বিভিন্ন বিষয় সুনির্দিষ্ট করে ‘বস্ত্রনীতি-২০১৭’ এবং ‘বস্ত্র আইন-২০১৮’ প্রণয়ন করেছে। বস্ত্রশিল্পের সফলতা অর্জন ও এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে সহযোগিতা প্রদান ও উদ্বুদ্ধ করাসহ উৎসাহিত করা হবে। একটি আনুষ্ঠানিক দিবসের উদযাপন এ খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। একইসাথে বহুমূখী বস্ত্রপণ্যের মেলা আয়োজন করা হলে তা এ শিল্প বিকাশে সকলকে অনুপ্রাণিত করবে ।

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিযোগিতা সক্ষম একটি বস্ত্র ও পাট খাত গড়ে তোলার ভিশন এবং বস্ত্র ও পাট খাতের অপার সম্ভাবনাকে পূর্ণরূপে কাজে লাগিয়ে উৎপাদনশীলতা, কর্মসংস্থান ও রপ্তানি বৃদ্ধির মিশন নিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। দেশের শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান ও রপ্তানি বৃদ্ধিসহ সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে বস্ত্রখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমান সরকারের গৃহিত নীতিমালা ও পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে বস্ত্রখাতের রপ্তানী বাজার সম্প্রসারণ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, পরিবেশ রক্ষা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ, সুখী এবং উন্নত জাতিতে পরিণত করা এবং বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরো সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে এ মন্ত্রণালয় সফল হবে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, প্রতিবছর ৪ ডিসেম্বরকে জাতীয় বস্ত্র দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভা কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। দিবসটি উদযাপনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিকে তা অর্ন্তভূক্ত করার প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সভায় বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সি,বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, বিজেএমইএ’র সভাপতি রুবানা হক, বিটিএমএ’র সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দিলীপ কুমার সাহা, বিকেএমইএ , বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল এসোসিয়েশনসহ বস্ত্র শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

গাজী গোলাম দস্তগীর বস্ত্র দিবস বস্ত্রখাতের উন্নয়ন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর