টাইফুনে বিধ্বস্ত জাপান, মৃতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৭০
১৫ অক্টোবর ২০১৯ ১১:৪০
প্রলয়ঙ্করী টাইফুন হাগিবিসের আঘাতে জাপানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭০ জনে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক ডজন। উপদ্রুত এলাকায় উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ১ লাখ ১০ হাজার পুলিশ, কোস্টগার্ড, অগ্নিনির্বাপণ কর্মী ও সেনাসদস্য।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দ্য হিন্দুস্থান টাইমসের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় টোকিওর দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে টাইফুন হাগিবিস। টাইফুনের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়েছে জাপানের বেশ কিছু শহর ও উপকূলীয় অঞ্চল। জাপানে বিগত ৬০ বছরে আঘাত হানা এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন।
মঙ্গলবার সকালের দিকে জাপানের জাতীয় টেলিভিশন এনএইচকে জানায়, টাইফুনে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৭০। এছাড়া নিখোঁজ কয়েক ডজন।
এদিকে টানা তৃতীয় দিনের উদ্ধার অভিযানে ব্যস্ত উদ্ধারকারী কর্মীরা। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সংসদে বলেছেন, উদ্ধার তৎপরতা ধীরগতি করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজ ও অনুসন্ধান পুরোদমে চলছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, দেশটির ৪৭টি বিভাগ-অঞ্চলের ৩৬টি টাইফুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টাইফুনের সময়ে উদ্ধার করা হয়েছে ৩ হাজার মানুষকে।
টাইফুন ও প্রবল বৃষ্টিপাতে অন্তত ১৭৬টি নদী তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিতে গাড়ি ভেসে, অ্যাপার্টমেন্ট ডুবে ও কার্গো শিপ ডুবে প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এখনো প্রায় ৩৪ হাজার বাড়িতে নেই বিদ্যুৎ ও ১ লাখ ৩৩ হাজার বাড়িতে নেই পানি। শরণার্থী কেন্দ্রে থাকা মানুষরা কখন বাড়িতে ফিরতে পারবেন তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
এদিকে ফুকশিমা পরমাণু কেন্দ্রও টাইফুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরমাণু বর্জ্য বাহিত ১০টি ব্যাগ পানিতে ভেসে যায়। যদিও পরবর্তীতে ৬টি উদ্ধার করা সম্ভব হয়। বাকি ৪টি ব্যাগও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে জাপানের পরিবেশ মন্ত্রণালয়।
অধিকাংশ যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হলেও এখনো বাতিল রয়েছে অনেক ট্রেনের সিডিউল ও বিমানের ফ্লাইট।