তুরস্কের অর্থনীতি ধ্বংসের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
১৫ অক্টোবর ২০১৯ ১৬:০০
সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সেফ জোন তৈরি করতে কুর্দি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে তুরস্ক। যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে এ ব্যাপারে নীরব সম্মতি দিয়েছিল। তবে তীব্র সমালোচনার মুখে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন আবার তুরস্কের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। খবর দ্য হিন্দুস্থান টাইমসের।
তুরস্কের মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর অবরোধের পাশাপাশি, স্টিল জাতীয় পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধি ও ১০০ বিলিয়ন ডলারের একটি বাণিজ্য আলোচনার ইতি টানা হয়েছে। এ ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প আরও বলেন, তুরস্কের নেতারা যদি এই ধ্বংস ও বিপজ্জনক পথে হতে সরে না আসে তাহলে তুরস্কের অর্থনীতি দ্রুত ধসিয়ে দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত।
ইতোমধ্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানকে ফোনে করে দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
কুর্দিদের দুর্দিনে ওসব অঞ্চল থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করার বিষয়টি দেখা হচ্ছে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে। কারণ সিরিয়া আইএস জঙ্গিদের পরাজিত করতে কুর্দিদের সাহায্য নিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তুরস্ক সামরিক অভিযান চালানোয় কুর্দি ও রাশিয়া সমর্থিত আসাদের সিরিয় বাহিনী একজোট হয়েছে। তারা সীমান্তের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
সীমান্ত এলাকায় তুরস্কের অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে, কুর্দিদের দখলে থাকা বন্দিশিবিরগুলো থেকে হাজার হাজার আইএস যোদ্ধা পরিবার নিয়ে পালিয়ে গেছে।
ট্রাম্প তুরস্ককে উদ্দেশ করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও সহযোদ্ধারা আইএসের খেলাফত থেকে মানুষের একশভাগ মুক্ত করেছি। তুরস্ক এটাকে ব্যর্থতা পর্যবসিত করতে পারে না।
তুরস্কের জনসংখ্যার প্রায় ১৮ ভাগ কুর্দি। বিচ্ছিন্নতাবাদী কুর্দিরা স্বাধীন কুর্দিস্তান গঠনে উসকানি দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে তুরস্কের।
এদিকে সামরিক অভিযানে বেসামরিক লোকের প্রাণহানি না ঘটে সে ব্যাপারে তুরস্ককে সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।