আবরার হত্যায় ক্ষতিপূরণ রিটে আদালত বিব্রত, অপেক্ষার পরামর্শ
১৫ অক্টোবর ২০১৯ ১৮:৪২
ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যার ঘটনায় ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানির জন্য অপেক্ষা করতে বলেছেন হাইকোর্ট।
রিট আবেদন শুনানির জন্য উপস্থাপন করতে গেলে আদালত বলেন, ‘যেহেতু ঘটনাটি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী দেখছেন। তাছাড়া বিষয়টি নিয়ে সরকার সচেতন, বুয়েট প্রশাসনও সচেতন আছে। এ পর্যন্ত যা হয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট। সুতরাং আপনারা অপেক্ষা করেন। দেখেন কি হয়।’ পরে আবেদনটি নিয়ে ফেরত আসেন রিটকারি আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন একেএম ফয়েজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার সারাবাংলাকে জানান, আজ (১৫ অক্টোবর) মামলাটি শুনানির জন্য আমাদের কোর্টে আসলে কোর্ট বলেছেন, এখন পর্যন্ত এ মামলার তদন্ত সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী দেখছেন। রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী যেহেতু বিষয়টি নজরে রেখেছেন সেহেতু আপনারা অপেক্ষা করেন। তাছাড়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের এরই মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ অবস্থায় রুল জারি করলে মামলাটি প্রভাবিত হতে পারে বলেও জানিয়েছেন আদালত।
এর আগে সকালে রিট আবেদনটি নিয়ে প্রথমে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চে আদালত রিটটি শুনতে বিব্রতবোধ করেন। পরে আবেদনটি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে গেলে সেখান থেকেও ফেরত দেন আদালত।
বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার ঘটনায় তার পরিবারের জন্য ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে গত ১৩ অক্টোবর হাইকোর্টের জনস্বার্থে রিট আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী শাহীন বাবু। রিটে ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি এ ঘটনা তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রিটে বুয়েট কর্তৃপক্ষ, স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, ইউজিসি, ডিএমপি কমিশনার, চকবাজার থানা ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসিকে) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।