গরুর লেজ কাটার অপরাধে খুন, দুই আসামির যাবজ্জীবন
১৫ অক্টোবর ২০১৯ ২০:০৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: গরুর লেজ কেটে দেওয়া ও খড়ের গাদায় আগুন দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে এক তরুণকে খুনের মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ১৩ বছর আগে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার উত্তর মাদার্শা এলাকায় নাজিম উদ্দিন নামে ওই তরুণকে খুন করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. মোসলেহ উদ্দিন এ রায় দিয়েছেন।
রায়ে দণ্ডিত দুজন হলেন- মাইনুল আলম মিঠুন এবং মাওলানা নুরুল আলম। এদের মধ্যে মিঠুন নিহত নাজিম উদ্দিনের চাচাত ভাই। নুরুল আলম তাদের প্রতিবেশি। রায়ে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই রায়ে আদালত পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন। এরা হলেন- খোরশেদ আলম, একরাম হোসেন, দেলেয়োর হোসেন রুবেল, মাশরুক হোসেন ও মাওলানা মো. ওসমান।
খুন হওয়া নিজাম হাটহাজারী উপজেলার উত্তর মাদরাসা এলাকার বদিউল আলমের ছেলে।
মামলার নথিপত্রের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম জেলা আদালতে দায়িত্বরত রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অজয় বোস জানান, ২০০৬ সালের ৩ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে নাজিম উদ্দিনকে (১৮) কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়। গুরুতর আহত নিজাম উদ্দিনকে প্রথমে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তিনি মারা যান।
খুনের ঘটনায় নিজামের মা ফরিদা বেগম বাদী হয়ে মাইনুল আলম মিঠুনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। তিন বছর পর গ্রেফতার হন মিঠুন। ২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর আদালতে জবানবন্দি দিয়ে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন মিঠুন। জবানবন্দিতে তিনি জানান, তাদের একটি গরুর লেজ কেটে দেওয়া এবং খড়ের গাদায় আগুন দেওয়াকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ হয়ে নাজিমকে খুন করেন।
ওই মামলায় ২০০৬ সালের ১ ডিসেম্বর দণ্ডবিধির ৩০২ ও ১০৯ ধারায় সাতজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। অভিযোগ গঠন করা হয় ২০০৮ সালের ৬ অক্টোবর। মামলায় ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
দণ্ডিত দুই আসামি জামিনে ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে হাজির হন। রায় ঘোষণার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।