‘বন্ধুকে মারতে গিয়ে’ খুন হলেন নিজেই
১৫ অক্টোবর ২০১৯ ২১:০৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে পিটুনি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত যুবক বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। ধারালো অস্ত্র নিয়ে বন্ধুকে আঘাত করতে গিয়ে নিজেই খুন হয়েছেন।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) গভীর রাতে নগরীর পাহাড়তলী থানার লঙ্কাপাড়া এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। ঘটনার পর পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে।
নিহত সুজন মল্লিক (২৯) নগরীর দক্ষিণ কাট্টলী জেলেপাড়ার মৃত নির্মল মল্লিকের ছেলে। তাদের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের মধ্যম কালিয়াইশ গ্রামে।
এই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। এরা হলেন- পাহাড়তলী থানার লঙ্কাপাড়া এলাকার একরাম হোসেন বাবু (৩০), তার বাবা আব্দুল মালেক (৬৫), স্ত্রী রুমি আক্তার (২৫) ও নিকটাত্মীয় আবু তাহের (২০)।
পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইনুর রহমান সারাবাংলাকে জানান, একরাম ও সুজন দুজন বন্ধু এবং মাদকসেবী। তিন-চারমাস আগে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে কয়েক দফা মারামারিও হয়। গত শুক্রবার সুজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে লঙ্কাপাড়ায় এসে একরামকে মারার হুমকি দিয়ে যায়।
‘সোমবার গভীর রাত দেড়টার দিকে সুজন আবারও কিরিচ নিয়ে একরামের বাসার কাছে আসে। এসময় একরামকে একা পেয়ে তার হাতে কিরিচ দিয়ে আঘাত করে। এতে একরামের হাত কেটে রক্ত ঝরতে থাকে। বাসার লোকজন বের হয়ে একরামকে রক্তাক্ত দেখার পর তারা লোহার রড, ধারালো কিরিচ দিয়ে সুজনের ওপর হামলে পড়েন। পিটিয়ে ও কিরিচ দিয়ে আঘাত করে সুজনকে আহত করা হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সুজন মারা যায়।’
ওসি জানান, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রুমি ও আব্দুল মালেককে গ্রেফতার করেন। এর মধ্যে রুমি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হত্যার দায় স্বীকার করে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সরওয়ার জাহানের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
এই ঘটনায় সুজনের ছোট ভাই রনি মল্লিক বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার অপর দুই আসামি একরাম ও আবু তাহের পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি।