ছেউড়িয়ায় বুধবার বসছে তিন দিনব্যাপী সাধুর হাট
১৫ অক্টোবর ২০১৯ ২১:৪৭
কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেউড়িয়ায় কালীগঙ্গা নদীর তীরে এখন সাজসাজ রব। ফকির লালন সাঁইয়ের ১২৯তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে আগামীকাল (বুধবার) থেকে শুরু হচ্ছে তিনদিনের লালন স্মরণ উৎসব ও গ্রামীণ মেলা।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এবং লালন একাডেমির আয়োজনে এরইমধ্যে শেষ হয়েছে সব প্রস্তুতি। বুধবার সন্ধ্যায় শুরু হয়ে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা চলবে শুক্রবার পর্যন্ত।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) আখড়া ঘুরে দেখা যায়, বিকেল থেকেই আসতে শুরু করেছেন লালনভক্ত ও অনুসারীরা। উৎসবের তিনদিন আখড়াবাড়ির ভেতরে এবং বাইরে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে তারা পরিবেশন করবেন লালন গীতি। পাশাপাশি লালন মঞ্চে থাকবে সারারাত গানের আয়োজন।
ফকির লালন সাঁই দেহ ত্যাগ করার পর থেকে তার অনুসারীরা প্রতিবছর আখড়াবাড়িতে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি স্মরণ করে আসছেন। লালন একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সেলিম হোসেন বলেন, বিশাল এই আয়োজনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। উৎসবে যোগ দিতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন সাধু-গুরু, বাউল, ভক্তরা।
লালন মাজারের খাদেম ফকির মোহাম্মমদ আলী সাঁই বলেন, ভোরে গুরুকার্যের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ফকির লালন সাঁইয়ের ১২৯তম তিরোধান দিবস। লালন অনুসারী ও ভক্তরা আসতে শুরু করেছেন। উৎসবের তিনদিন আখড়া পরিণত হবে গুরুশিষ্যর মিলন মেলায়।
লালন স্মরণ উৎসব ও গ্রামীণ মেলাকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম তানভীর আরাফাত সারাবাংলাকে বলেন, এত বড় আয়োজনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উৎসব অঙ্গন ছাড়াও শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে আখড়াবাড়ি সব সময় পর্যবেক্ষণ করা হবে। এবার মেলার মাঠ সংলগ্ন নদীতে স্পিডবোটে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশকে সহায়তা করবে র্যাব ও গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাতজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পালাক্রমে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবেন।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভাপতি মো. আসলাম হোসেন জানান, এবার দর্শনার্থীদের বিশেষ আকর্ষণ থাকছে লালন মিউজিয়াম দেখার সুযোগ।