সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক শক্তি রুখতে গণশপথ ছাত্র-শিক্ষকদের
১৬ অক্টোবর ২০১৯ ১৩:৪৫
ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দেওয়ার প্রতিজ্ঞায় গণশপথ নিয়েছেন ছাত্র ও শিক্ষকেরা। গণশপথের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঠ পর্যায়ের আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেন তারা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ১৫ তম ব্যাচের ছাত্র মাহমুদুর রহমান সায়েম এই ঘোষণা দেন।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর সোয়া একটার দিকে বুয়েট কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এই কর্মসূচি পালন করেন ছাত্র ও শিক্ষকেরা।
শপথে অংশ নেন বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, বিভিন্ন বিভাগের ডিন, ছাত্রকল্যাণ দফতরের (ডিএসডব্লিউ) ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. আব্দুল বাসিত, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা। শপথ পাঠ করান বুয়েটের ১৭ তম ব্যাচের ছাত্রী রাফিয়া রিজওয়ানা।
শপথ পাঠে বলা হয়, ‘আমি প্রতিজ্ঞা করছি যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের কল্যাণ ও নিরাপত্তার নিমিত্তে আমার ওপর অর্পিত ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক নৈতিক ও মানবিক সকল প্রকার দায়িত্ব সর্বোচ্চ সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করবো। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় আমার জ্ঞাতসারিত হওয়া প্রত্যেক অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমি সর্বদা সোচ্চার থাকবো।’
আমি আরও প্রতিজ্ঞা করছি, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থানকে আমরা সম্মিলিতভাবে রুখে দেবো। নৈতিকতার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সব ধরণের বৈষম্যমূলক অপসংস্কৃতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার আমরা সকলে উৎপাটিত করবো। এই আঙ্গিনায় যেন আর কোনো নিষ্পাপ প্রাণ ঝড়ে না যায়। আর কোনো নিরপরাধ যেন অত্যাচারের শিকার না হয়। তা আমরা সবাই মিলে নিশ্চিত করবো।’
শপথ পাঠের আগে আবরার ফাহাদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এরপর থেকে ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের মুখে এরইমধ্যে দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বুয়েট প্রশাসন। এসব দাবি বাস্তবায়নের বিষয়ে নোটিশও দেওয়া হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটেই শিক্ষার্থীরা মাঠের আন্দোলনে ইতি টানার সিদ্ধান্ত নেয়।