আন্তর্জাতিক ইনডেক্সের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
১৬ অক্টোবর ২০১৯ ১৬:৫৪
ঢাকা: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক যেসব ইনডেক্স প্রকাশ হয় সেগুলোর বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কত বিজ্ঞানী কত কিছু বের করে, তারা এটি করে খায়। তারা জানে তাদের সব ইনডেস্কে আমাদের মতো দেশগুলো পেছনে থাকবে আর তারা উপরে থাকবে। তারপরও তারা এ সব ইনডেক্স করেই যাচ্ছে। এর মাধ্যমে হতাশা ছড়ানোর চেষ্টা থাকে।’
রাজধানীর পরিসংখ্যান ভবনে বুধবার ‘ইন্টারন্যাশনাল ইনডেক্সেস ইন এসিভিং এসডিজিস’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মূল কাজটা হবে নিজের কাজটা নিজে করে যাওয়া। দারিদ্র্য মোকাবিলায় নোবেল পাওয়া ভালো কিন্তু দরিদ্র থাকা ভালো নয়। আমাদের সমাজে অন্যায় গেড়ে বসেছে। ফলে দারিদ্র্য পুরোপুরি শেষ হচ্ছে না।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম এবং ইউএনডিপি কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ সুদীপ্ত মুখাজী। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিন সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিবিএসএর উপসচিব ড. দীপঙ্কর রায় এবং এটিআই প্রকল্পের হেড অব ডাটা ম্যানেজমেন্ট রমিজ উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক সূচকগুলো এমন একটি প্ল্যাটফরম যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সেক্টরভিত্তিক বিভিন্ন উন্নয়নকে বিশ্ব দরবারের সামনে উপস্থাপন করে বাংলাদেশের শক্তিশালী অবস্থা সকলের সামনে তুলে ধরা যায়। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করতে সক্ষম হবো। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা যেমন পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, ভিশন-২০২১, নির্বাচনী ইশতেহার, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির ধারাবাহিকতা উপস্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে টেকসই অবস্থান নিশ্চিত করবে। বাংলাদেশ ২০১৮ সালে ই-গভর্নমেন্ট ডেভলপমেন্ট ইনডেক্সে ১১৫তম অবস্থান নিশ্চিত করতে পেরেছে, ২০১৪ সালে যেখানে এ অবস্থান ছিল ১৪৮-এ। বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক সূচকে সম্মানজনক ও শক্তিশালী অবস্থান নিশ্চিত করার বিষয়টিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা হিসেবে নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে ২৩টি ইনডেক্স নিয়ে আলোচনা হয়। সেগুলো হলো হিউম্যান ডেভলপমেন্ট ইনডেক্স, গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স, হিউম্যান ক্যাপিটাল, আইসিটি ডেভলপমেন্ট, গ্লোবাল ফাইন্ডডেক্স, লজিস্টিক পারফরমেন্স, ই-কর্মারস ইনডেক্স, ই-গভর্মেন্ট ডেভলপমেন্ট, গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি, হিউম্যান অ্যাসার্ট, জেন্ডার ইনইক্যুয়ালিটি, ইজ অব ডুয়িং বিজনেস, ওপেন ডাটা, নেটওয়ার্কে রেডিয়েন্স, গ্লোবাল ইনোভেশন, এসডিজিস ইনডেক্স, ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস, ই-পার্টিসিপিয়েন্স ইনডেক্স, গ্লোবাল কানেক্টটিভিটিম করাপশন পারসিফেশন, গ্লোবাল পিস, ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কমপিটিটিভনেস অ্যান্ড গ্লোবাল কমপিটিটিভনেস ইনডেক্স।