Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৬ষ্ঠ ব্যাচের আবেদন নিচ্ছে জিপি অ্যাকসেলারেটর


১৬ অক্টোবর ২০১৯ ২১:০১

ঢাকা: অ্যাকসেলারেটর প্রোগ্রামের ষষ্ঠ পর্বের আয়োজনে স্টার্টআপদের কাছ থেকে আবেদনের আহ্বান করছে গ্রামীণফোন অ্যাকসেলেরেটর। বিক্রয়যোগ্য কোনো পণ্য বা সেবা রয়েছে— এমন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘সিডস্টার’-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারবে। আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রামীণফোন অ্যাকসেলারেটর একটি উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্ম। এতে দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষক ও বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় সাড়ে ৪ মাস মেয়াদি কারিকুলামভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পরে প্রাথমিক মূলধন সংস্থান করে দেওয়ার মাধ্যমে স্টার্টআপগুলোকে ব্যবসা শুরু করবার উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়।

বিজ্ঞাপন

বাছাইকৃত স্টার্টআপগুলোকে মালিকানাস্বত্ব ছাড়াই মূলধন হিসেবে ৫ হাজার মার্কিন ডলার দেওয়া হয়। এছাড়াও প্রতিটি স্টার্টআপকে ১১ হাজার ২০০ ডলার সমমানের অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস ক্রেডিট সহায়তা, জিপি হাউজে কাজের সুবিধা এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারের সুযোগ করে দেওয়া ছাড়াও বিভিন্ন উপায়ে সহায়তা দিয়ে থাকে গ্রামীণফোন।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, সাড়ে ৪ মাস মেয়াদি অ্যাকসেলারেটর প্রোগ্রামে নির্বাচিত উদ্যোক্তারা তাদের ধারণাকে ব্যবসা উপযোগী করে গড়ে তুলতে ও ব্যবসার পরিসর বাড়াতে স্থানীয় ও বিদেশি প্রশিক্ষক এবং বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে টার্ম শিট, ভ্যালুয়েশন, ফাইন্যান্সিয়াল মডেলিং, ব্র্যান্ডিংয়ের মতো বিষয়গুলোতে প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পেয়ে থাকেন। এছাড়াও অ্যাকসেলারেটর প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সুযোগ পেয়ে থাকে অংশগ্রহণকারী স্টার্টআপগুলো। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত স্টার্টআপগুলো টাকার হিসেবে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা সমমানের সহায়তা পেয়ে থাকে এই আয়োজনে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিষ্ঠানটি আরও বলছে, বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতিতে ইনভেস্টর নেটওয়ার্কিং আয়োজনের মাধ্যমে শেষ হয় অ্যাকসেলারেটর প্রোগ্রাম। এতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী, অংশীদার এবং সম্ভাব্য ক্রেতাদের সামনে নিজেদের পণ্য সম্পর্কে উপস্থাপন করার সুযোগ পায় স্টার্টআপগুলো।  অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকরার পরবর্তী ছয় মাসের মাঝে ব্যবসার ভ্যালুয়েশন আগের ভ্যালুয়েশনের তূলনায় গড়ে চার গুণ হারে বৃদ্ধি পায়।

এ আয়োজন প্রসঙ্গে গ্রামীণফোনের হেড অব ডিজিটাল ডিভিশন সোলাইমান আলম বলেন, গত তিন-চার বছরে আইসিটি খাতে অভাবনীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। দ্রুত গতিতে গড়ে উঠছে একটি টেকসই স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম। সরকারসহ বিভিন্ন শিল্প খাতের বিশেষজ্ঞ এবং প্রশিক্ষকরা উদ্যোক্তা তৈরিতে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছেন। স্টার্টআপগুলোকে পণ্য কিংবা সেবার বাজার তৈরিতে, প্রয়োজনীয় সংযোগ ও সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার মতো আকর্ষণীয় সম্পদের সংস্থান করে দেয় জিপি অ্যাকসেলারেটর প্রোগ্রাম।

জিপি অ্যাকসেলারেটর প্রোগ্রামে এরই মধ্যে পাঁচটি ব্যাচে ২৬টি স্টার্টআপ গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছে। এসব স্টার্টআপের মধ্যে সেবা এক্সওয়াইজেড, সিমেড হেলথ, রেপটো, আমার টাকা, অল্টারইয়ুথ, পার্কিং কইসহ বেশকিছু স্টার্টআপ সফলভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে। জিপি অ্যাকসেলারেটর স্টার্টআপগুলোকে এমন এক প্ল্যাটফর্মের সুযোগ তৈরি করে দেয়, যা উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলে।

জিপি অ্যাকসেলারেটর প্রোগ্রামে নিবন্ধন করতে হবে www.grameenphone.com/gpaccelerator ঠিকানায়।

গ্রামীণফোন অ্যাকসেলেরেটর জিপি অ্যাকসেলেরেটর ষষ্ঠ ব্যাচ স্টার্টআপ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর