আবরার হত্যায় বুয়েটের ভিসিই জড়িত: মান্না
১৭ অক্টোবর ২০১৯ ১৪:৪৯
ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ অভিযোগ করেন। আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক নেতারা এ মানববন্ধন আয়োজন করে।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম জড়িত। ছাত্রলীগ ফাহাদকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় ভিসিকে বলা হলেও তিনি হলে আসেননি। কোনো পদক্ষেপও নেননি। ছাত্রটি মারা যাওয়ার পরও আসলেন না। জানাজাতেও এলেন না। অনেক পরে তিনি কুষ্টিয়াতে গেলেন কবর জিয়ারত করতে। আমরা এই পাষণ্ড ভিসির অপসারণের দাবি জানাই।’
দেশ গভীর সংকটের মধ্যে আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৪৮ বছরে এমনটা হয়নি। আজ এমন অবৈধ সরকার ক্ষমতায় আছে, যারা জনগণের ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। এরা মানুষ তৈরি করতে জানে না। একজন মেধাবী ছাত্র রাজনীতি করতে ছাত্রলীগে গেলে সে খুনি হয়ে বের হয়। ছাত্রলীগ মানে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করো, হত্যা করো, র্যাগিং করো, গণরুমে মেধাবীদের রেখে দাও।’
মান্না বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এজেন্ডা হল মানুষকে পিটিয়ে মারা, বিরোধীদের দমন করা, বিরোধী মত প্রকাশ করলে তাদের কথা বন্ধ করে দেওয়া। তারা শত কোটি টাকার ঋণখেলাপি হয়েও নির্বাচনে দাঁড়াতে পারে। আর খালেদা জিয়া মাত্র দুই কোটি টাকার একটা একাউন্টে রেখেছেন। যা সুদ-আসল মিলে এখন আট কোটি টাকা। অথচ বিনা কারণে তাকে সাজা দেওয়া হল। জেলে রাখা হচ্ছে অসুস্থতার মধ্যেও।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফাহাদ হত্যায় জড়িত ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একদিন শুনতে হবে ১৯ জনের ১৮ জন বেকসুর খালাস। আমরা বিশ্বজিৎ হত্যায় দেখেছি আসামিরা কিভাবে মাপ পেয়ে যায়। তারা এখন বলছে, ফাহাদ হত্যায় ন্যায় বিচার হবে। আমাদের ন্যায়ের প্রতীক ফাহাদ। এই প্রতীক নিয়ে আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করব যত বাধাই আসুক।’
সভাপতির বক্তব্যে ডাকসুর সাবেক ভিপি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘দেশের জন্য, দেশের জনগণের পক্ষে কথা বলার কারণে বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয়েছে। দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লেখার মাধ্যমে প্রতিবাদ করার কারণে সরকার পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ফাহাদকে নয়, পুরো জাতিকে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যার দায় স্বীকার করে ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত।’
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ডাকসুর সাবেক ভিপি বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, ডাকসুর সাবেক জিএস বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন, এজিএস নাজিম উদ্দিন আলমসহ অনেকেই।