আইনজীবীর সহকারী মোবারক হত্যা মামলায় রায় ২১ অক্টোবর
১৮ অক্টোবর ২০১৯ ১৩:১০
ঢাকা: ঢাকার জজ কোর্টে আইনজীবীর সহকারী মোবারক হোসেন ভূঁইয়া (৪৫) হত্যা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ আগামী ২১ অক্টোবর নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মনির কামাল এ দিন নির্ধারণ করেছেন। এদিন মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষ হয়েছে।
মোবারক হোসেন কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার গোথালিয়া ভূঁইয়াবাড়ীর মৃত ইশাদ ভূঁইয়ার ছেলে। দীর্ঘ সময়ে ধরে ঢাকা জজ কোর্টে আইনজীবীর ক্লার্ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
জানা যায়, মোবারকের পরিবারের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে আসামিদের বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জেরে ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের পাশে মৃত্তিকা প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে আসামিরা মোবারক হোসেনের পেটে বল্লম দিয়ে আঘাত করেন। এতে মারা যান মোবরাক। পরদিন মোবারকের ছোট ভাই ১৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন— কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার গোথালিয়া ভূইয়াবাড়ীর মৃত হাজী সাইদুর রহমান ভূঁইয়া ওরফে অবু ভূইয়ার ছেলে মো. মাহবুবুর রহমান ভূইয়া ওরফে মহুব, মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া ওরফে বাদল ভূঁইয়া, আফজাল ভূঁইয়া, এমদাদুল হক ওরফে সিকরিত ভূঁইয়া, নয়ন ভূঁইয়া, ভূলন ভুঁইয়া ওরফে ভুলু, একই গ্রামের পরেশ সন্যাসীর ছেলে বিধান সন্যাসী, মাহবুবুর রহমান ভূইয়া ওরফে মহুবের ছেলে দেলোয়ার হোসেন ওরফে দিলিপ, সিকরিত ভূঁইয়ার স্ত্রী সুলতানা আক্তার, ছেলে নুরুজ্জামান, একই এলাকার নবুরিয়া গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে রুহুল আমিন, একই গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে শামীম ওরফে ফয়সাল বিন রুহুল, রস্তুমপুর সবুজ ভুঁইয়ার ছেলে জয়নাল আবেদীন ওরফে ফালু, একই গ্রামের আবুল কালাম আজাদ ওরফে রাজা মিয়ার ছেলে শিপন মিয়া ও একই থানাধীন মইতপুরের কাজী জজ মিয়ার স্ত্রী নিলুফা আক্তার। আসামিদের মধ্যে আট জন কারাগারে, একজন জামিনে ও বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামলার তদন্ত শেষে ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। একই বছর ১৭ ডিসেম্বর একই ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন। বিচারকালে ট্রাইব্যুনাল চার্জশিটের ৩১ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া বলেন, মামলার আসামিদের মধ্যে আসামি নুরুজ্জামান অপ্রাপ্তবয়স্ক বিবেচনায় তার অংশের বিচার শিশু আদালতে আলাদাভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করবেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হবে আশা করছেন এই আইনজীবী।।
এ বিষয়ে ওই ট্রাইব্যুনালে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মাহাবুবুর রহমান বলেন, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। তাই আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তিই প্রত্যাশা করছি।