রাবি শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
১৯ অক্টোবর ২০১৯ ০০:৫১
ছিনতাই চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীর মাথায় আঘাত ও রগ কাটার চেষ্টা করে পালিয়ে যায় কয়েকজন। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাত পৌনে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে রাত সাড়ে ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বিক্ষোভ করে শিক্ষারা।
তারা জানান আহত শিক্ষার্থীর নাম ফিরোজ আনাম, সে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র।
তারা আরও জানান, আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে নিয়ে গেলে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় পরে সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেলে নিয়ে যায় সহপাঠীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহীদ হবিবুর রহমান মাঠের দক্ষিণ পাশে তাল গাছের কাছ থেকে একটি মেয়ের চেচামেচি শুনে কয়েকজন এগিয়ে যায়। গিয়ে দেখে ফিরোজের মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছে। এসময় একটা মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত মাদার বক্স হলের দিকে চলে যায়। তারাই ছেলেটি আঘাত করে বলে সঙ্গে থাকা মেয়েটির কাছ থেকে জানতে পারে।
অর্থনীতি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ফিরোজ তার বান্ধবীকে হলে এগিয়ে দিতে যাচ্ছিল। এমন সময় তাদেরকে হবিবুর রহমান হলের যে রাস্তা দিয়ে হলে এগিয়ে দিতে গেলে মোটর সাইকেলে করে এসে তাদের মাঠে নিয়ে যায়। তাদের কাছ থেকে মোবাইল বা টাকা-পয়সা দাবি করে। কিন্তু টাকা দিতে না পারলে তখন তার মাথায় আঘাত করা হয়।
তিনি বলেন, ফিরোজকে আট নাম্বার ওয়ার্ডের ওটিতে নেওয়া হয়েছে। মাথায় সেলাই দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। ছেলেটিকে রামেকে নিয়ে গিয়েছে। সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, বহিরাগত না বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এটা এখনো জানা যায়নি। তবে তারা ছিনতাই করতে আসেনি। ছিনতাই করলে তারা টাকা পয়সা কেড়ে নিতো। কিন্তু সেটাও করেনি। মাথায় আঘাত করেছে। সেটা কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে নয়। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। যদি কোনো ধরনের প্রমাণ পায় তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মাসুদ মোন্নাফ বলেন, ক্যাম্পাসে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। জানতে পেরেছি শিক্ষার্থীর রগ কাটার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মাধ্যমে জানাতে চাই, হামলাকারী বহিরাগত বা ক্যাম্পাসের যেখানকারই হোক দোষীদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।