জঙ্গিবাদের ঝুঁকি কমেছে, তবে শঙ্কা কাটেনি: সিটিটিসি প্রধান
১৯ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:৩৭
ঢাকা: দেশে জঙ্গিবাদের ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে আনা গেছে বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বই জঙ্গিবাদের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তবে সেই তুলনায় বাংলাদেশের ঝুঁকি অনেকাংশে কমেছে, কিন্তু এখনও শঙ্কা কাটেনি।’
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে গবেষণা সংস্থা সিসার্ফ’র আয়োজিত ‘ঢাকা পিস টক’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘যারা মানসিকভাবে দুর্বল, তারাই জঙ্গিবাদে ঝুঁকে পরছে। এই তালিকায় তরুণরা বেশি ঝুঁকিতে। এর অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটি অন্যতম কারণ মনে করি, সামাজিক ও রাজনৈতিক বৈষম্যের কারণে তরুণরা বিপথে চলে যাচ্ছে।’ তাই বৈষম্য না কমলে জঙ্গিবাদের প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশংকা প্রকাশ করেন তিনি।
সিটিটিসি’র প্রধান আরও বলেন, ‘সম্প্রতি ধরা পড়া জঙ্গিদের মধ্যে কেউ কেউ আগে থেকেই এর সঙ্গে যুক্ত ছিলো, আবার অনেকে নতুন করে জড়িয়ে পড়েছে। ইন্টারনেটে লোভনীয় ও আকর্ষণীয় বেশ কিছু প্যাকেজ দিয়ে জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট করা হচ্ছে।’
এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং সিসার্ফের নির্বাহী পরিচালক শবনম আজিম বলেন, ‘গবেষণার ফল বলে, উগ্রবাদের নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। কেননা একেক পরিস্থিতিতে একেকভাবে উগ্রবাদের সৃষ্টি হয়েছে। কোনো ছকেই এই উগ্রবাদকে সরলীকরণ করা যাবে না। এজন্য সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে।’
তরুণরাই বেশি সহিংস উগ্রবাদে ঝোঁকে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো শিক্ষার্থী যাতে উগ্রবাদে না জড়ায়, সেজন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি অব্যাহত রাখার পাশাপাশি দরকার পরিবারভিত্তিক মনস্তাত্ত্বিক শিক্ষা। এরপর সামাজিক পরিবেশ ও রাষ্ট্রীয়ভাবে উগ্রবাদ ও মনস্তাত্ত্বিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে।’ এই ক্ষেত্রে সিসার্ফ সচেনতামূলক কাজটিই করতে চায়। যে কাজগুলো মানুষকে জঙ্গিবাদে নিয়ে যায় সিসার্ফ ‘ঢাকা পিস টক’ এর মাধ্যমে সেগুলো শনাক্ত করবে ও সমাধানের পথও দেখাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।