২৩ অক্টোবর প্রাথমিকের শিক্ষকদের সমাবেশের ডাক
২০ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:০৬
ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সমাবেশ করবেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা। ২৩ অক্টোবর (বুধবার) এই সমাবেশের ডাক দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষকদের ১৪টি সংগঠন নিয়ে গঠিত ‘মোর্চা বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’।
সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে এবং প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন বাস্তবায়নের দাবিতে চলতি মাসে তারা চারদিন বিভিন্ন মেয়াদে কর্মবিরতিও পালন করেছেন। এর মধ্যে গত ১৭ অক্টোবর পূর্ণদিবস, ১৬ অক্টোবর অর্ধদিবস, ১৫ অক্টোবর ৩ ঘণ্টা এবং ১৪ অক্টোবর ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। বেতন বৈষম্য নিরসনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া কারও আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হবে না বলে জানিয়েছেন ঐক্য পরিষদ।
প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ রোববার (২০ অক্টোবর) সারাবাংলাকে জানান, দেশের ৬৬ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় পৌনে চার লাখ শিক্ষক বুধবার ঢাকায় এসে সমাবেশ করবেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ সব শিক্ষকরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমাদেরকে এভাবে বঞ্চিত করে রাখা উচিত নয়। আমাদের এই যৌক্তিক দাবি সরকার কেন মেনে নিচ্ছে না সেটা বিস্ময়কর! দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ভিত্তি হলো প্রাথমিক শিক্ষা। এই ভিত্তি মজবুত করতে হলে প্রাথমিকের শিক্ষক-কর্মচারীদের পর্যাপ্ত সম্মান ও সম্মানি দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষকরা কেন বারবার রাজপথে নেমে আন্দোলন করবেন? আমরা শ্রেণিকক্ষে থাকতে চাই। শিক্ষার সঙ্গে থাকতে চাই। আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হোক।’
সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের দাবিতে ২০১৭ সালে শিক্ষকরা ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশনে বসলে তৎকালীন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার ১ মাসের মধ্যে শিক্ষকদের দাবি বাস্তাবয়নের প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর ২ বছর পার হলেও শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসন হয়নি। বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারেও রাখা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন পরবর্তী সরকারের ১০ মাস পার হয়ে গেলেও প্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য সমাধান করা হয়নি।
প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, ‘সরকার আমাদের এই দাবি বাস্তবায়নে শতভাগ আন্তরিক নন। তাই আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর কারও আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করবো না। তিনি আশ্বাস দিলে বিষয়টি সমাধান হবে বলে।’
এদিকে বেতন বৈষম্য নিরসন প্রক্রিয়াধীন থাকা সত্ত্বেও ক্লাস বর্জন কর্মসূচি দেওয়ায় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। গত ১৩ অক্টোবর এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।