আইনজীবী সহকারী মোবারক হত্যা মামলায় ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড
২১ অক্টোবর ২০১৯ ১২:২৫
ঢাকা: ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী সহকারী মোবারক হোসেন ভূঁইয়া (৪৫) হত্যা মামলায় ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অন্য ২ আসামীকে ১ বছরের কারাদণ্ড ও ১ জনকে খালাস দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার( ২১ অক্টোবর) ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মনির কামাল এ রায় দেন।
ফাঁসির দণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- মো. মাহবুবুর রহমান ভূইয়া ওরফে মহুব, মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া ওরফে বাদল ভূঁইয়া, আফজাল ভূঁইয়া , এমদাদুল হক ওরফে সিকরিত ভূঁইয়া , নয়ন ভূঁইয়া , ভূলন ভুঁইয়া ওরফে ভুলু , রুহুল আমিন,শিপন মিয়া,সুলতানা আক্তার, দেলোয়ার হোসেন, বিধান সন্যাসী, নিলুফা আক্তার।
ফাঁসির সাজা পাওয়া এই ১২ আসামীর মধ্যে ৪ জন পলাতক রয়েছেন।
এছাড়া অপর দুই আসামি তাসলিমা আক্তার( পলাতক), শামীম ওরফে ফয়সাল বিন রুহুলকে (পলাতক) ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে জয়নাল আবেদীন নামে একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেন বিচারক।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার গোথালিয়া ভূঁইয়াবাড়ীর ছেলে মোবারক হোসেন দীর্ঘ সময়ে ধরে তিনি ঢাকা জজ কোর্টে আইনজীবীর ক্লার্ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মোবারকের পরিবারের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে আসামিদের বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জেরে ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর মৃত্তিকা প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে আসামিরা মোবারক হোসেনের পেটে বল্লম দিয়ে আঘাত করেন। এতে মারা যান মোবরাক। পরদিন মোবারকের ছোট ভাই ১৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামলার তদন্ত শেষে ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। একই বছর ১৭ ডিসেম্বর একই ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন। বিচারকালে ট্রাইব্যুনাল চার্জশিটের ৩১ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
আসামিদের মধ্যে আট জন কারাগারে, একজন জামিনে ও বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
এই হত্যা মামলার আসামিরা হলেন— কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার গোথালিয়া ভূইয়াবাড়ীর মৃত হাজী সাইদুর রহমান ভূঁইয়া ওরফে অবু ভূইয়ার ছেলে মো. মাহবুবুর রহমান ভূইয়া ওরফে মহুব, মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া ওরফে বাদল ভূঁইয়া, আফজাল ভূঁইয়া, এমদাদুল হক ওরফে সিকরিত ভূঁইয়া, নয়ন ভূঁইয়া, ভূলন ভুঁইয়া ওরফে ভুলু, একই গ্রামের পরেশ সন্যাসীর ছেলে বিধান সন্যাসী, মাহবুবুর রহমান ভূইয়া ওরফে মহুবের ছেলে দেলোয়ার হোসেন ওরফে দিলিপ, সিকরিত ভূঁইয়ার স্ত্রী সুলতানা আক্তার, ছেলে নুরুজ্জামান, একই এলাকার নবুরিয়া গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে রুহুল আমিন, একই গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে শামীম ওরফে ফয়সাল বিন রুহুল, রস্তুমপুর সবুজ ভুঁইয়ার ছেলে জয়নাল আবেদীন ওরফে ফালু, একই গ্রামের আবুল কালাম আজাদ ওরফে রাজা মিয়ার ছেলে শিপন মিয়া ও একই থানাধীন মইতপুরের কাজী জজ মিয়ার স্ত্রী নিলুফা আক্তার।