এমসিকিউ পদ্ধতিতে মেধার মূল্যায়ন হয় না: রাবি ভিসি
২১ অক্টোবর ২০১৯ ১২:৩৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এম আব্দুস সোবহান বলেছেন, অনেক সময় এমসিকিউ পদ্ধতিতে আন্দাজে উত্তর দিলেও সঠিক হয়ে যায়। এতে মেধার সঠিক মূল্যায়ন হয় না। সেজন্য এবার এমসিকিউ পদ্ধতির পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষা সংযোজন করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীর মেধা যাচাই করা যাবে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে নয়টায় ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রথম দিনে কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কলা ভবনের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ভর্তি পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কস আছে কিনা?- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নেগেটিভ মার্কিংয়ের বিষয়ে আমি বলতে পারব না। ভর্তি পরীক্ষার প্ল্যানিং কমিটি এ বিষয়ে বলতে পারবে।’
শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার জন্য ছাত্র সংগঠনগুলো কোনো বুথ বসাতে পারবে কিনা?- এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘আমরা কোনো ছাত্র সংগঠকে বুথ বসানোর অনুমতি দেইনি। শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হেল্প ডেস্কের ব্যবস্থা আছে।’
ভর্তি জালিয়াতি চক্রের কোনো প্রলোভনে না পড়তেও অভিভাবকদের অনুরোধ করেছেন উপাচার্য।
এদিকে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, অনুমতি না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও সিলসার মতো সংগঠনের হেল্প ডেস্ক চোখে পড়েছে। তবে সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা চলছে। এখনও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ও বুথ বসানোর বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘এবার বুথ বসানোর কোনো অনুমতি নেই। এছাড়া শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। কোনো ধরনের জালিয়াতি ধরা পড়লে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ভর্তি পরীক্ষা পরিদর্শনের সময়ে ভিসির সঙ্গে ছিলেন উপ-উপাচর্য প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী মো. জাকারিয়া, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান আল আরিফ, রেজিস্ট্রার প্রফেসর এমএ বারী, ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর লায়লা আরজুমান বানু, প্রক্টর প্রফেসর লুৎফর রহমান, জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক প্রফেসর প্রভাষ কুমার কর্মকার প্রমুখ।