Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা চায় না ‘আনসার আল ইসলাম’


২১ অক্টোবর ২০১৯ ১৪:১৭

ঢাকা: গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বাইরে ইসলামি শাসন ব্যবস্থার বিরোধীতাকারীদের লক্ষ্য করেই হত্যার পরিকল্পনা করত ‘আনসার আল ইসলাম’ নামের একটি সংগঠনের সদস্যরা। রাজধানীর বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত এই সংগঠনের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতারকৃতরা হল- মুফতি সাইফুল ইসলাম (৩৪), সালিম মিয়া (৩০), জুনায়েদ (৩৭) আহম্মেদ সোহায়েল (২১)। তাদের কাছ থেকে আনসার আল ইসলামের বিভিন্ন ধরনের উগ্রবাদী সম্পর্কিত বই, ভিডিও, কবিতা, বয়ান, লিফলেটসহ মোবাইল, ল্যাপটপ ও চাপাতি উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক বলেন, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর গাবতলী ও সাভারের আমিনবাজার এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আনসার আল ইসলামের চারজন সক্রিয় সদস্যকে করা হয় গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বেশকিছু রাষ্ট্রবিরোধী উপকরণ জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বিপক্ষে তারা ইসলামি শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়। তাদের মতে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা বাতিল। তাই ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠায় যারা প্রতিহত বা বিরাধ সৃষ্টি করে তাদের চূড়ান্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতেই তারা টার্গেট কিলিং মিশনের পরিকল্পনা করেছিল।

তিনি আরো বলেন, তাদের মতে দেশের প্রচলিত শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তে ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠা করাই আনসার আল ইসলামের মূল উদ্দেশ্য। তাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা কারীদের উপর তারা আকস্মিক আক্রমন করে কঠোর শাস্তি বা টার্গেট কিলিং করে থাকে। টার্গেট কিলিং এর ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় আগ্নেয়াস্ত্রের পরিবর্তে চাপাতি ব্যবহার করে। জঙ্গি তৎপরতা, প্রশিক্ষণ ও করনীয় সম্পর্কে তারা Protective Apps, Protective Text, Protective Browser এর মাধ্যমে যোগাযোগ করে। এর মাধ্যমেই তারা নাশকতার পরিকল্পনা করত। যে কারণে তাদেরকে চিহ্নিত করা খুব কঠিন ছিল। এরইমধ্যে তারা একটি বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল। যা গ্রেফতার করার কারণে নস্যাৎ হয়ে গেছে। তবে কী ধরনের পরিকল্পনা ছিল সেটি তদন্তের স্বার্থে এখনই বলা যাচ্ছে না। অভিযানের সময় তাদের বেশ কয়েকজন সদস্য পালিয়ে গেছে। তাদেরকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাদের সকলকে আইনের আওতায় আনার পর এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানানো হবে।

বিজ্ঞাপন

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইসলামের বিরুদ্ধে যারা কাজ করে এবং যারা সরকার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন তাদের মধ্য থেকেই টার্গেট কিলিং মিশনের পরিকল্পনা করেছিল তারা। তবে তদন্তের স্বার্থে টার্গেট কিলিং মিশনের তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তারা দেশের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জেলায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি। তবে গোয়েন্দা সদস্যরা তৎপর থাকায় তারা সফল হতে পারবে না বলে জানান তিনি।

আনসার-আল ইসলাম

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর