Saturday 05 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিএনপির এমপি হারুনের ৫ বছরের কারাদণ্ড


২১ অক্টোবর ২০১৯ ১৪:৪৫ | আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৯ ১৫:৪০
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফাইল ছবি: হারুনুর রশীদ

ঢাকা: শুল্কমুক্ত আমদানির সুবিধা নিয়ে গাড়ি কিনে, পরবর্তীতে তা বিক্রি করে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় বিএনপি সংসদ সদস্য ও দলটির যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশীদের ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় হারুন অর রশিদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

দুদকের আদালত পরিদর্শক আশিকুজ্জামান আশিক এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

আশিকুজ্জামান জানান, একই রায়ে গাড়ি কেনাবেচায় জড়িত থাকার দায়ে চ্যানেল নাইন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনায়েতুর রহমান বাপ্পীকে ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া পলাতক আসামি ইশতিয়াক সাদেককে ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এদিকে, ওই গাড়িটিও জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত, জব্দ করা না গেলে ৯৭ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ১৯ এপ্রিল হারুন অর রশিদ সংসদ সদস্য থাকালে শুল্কমুক্ত গাড়ি এমপি কোটায় আমদানি করে। তদন্ত করে এসআরও’র বিধি বিধান মেনে ১৫০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার ভঙ্গ করে শুল্ক বাবদ সরকারের ৮৭ লাখ ৭১ হাজার ৬১২ টাকা ফাঁকি দিয়ে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করা হয়েছে।

একই বছরের ২৬ এপ্রিল গাড়িটি বিক্রি করে নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হন। স্কাই অটোসের মালিক ইশতিয়াক সাছেদের মাধ্যমে এনায়েতুর রহিমের কাছে এ গাড়িটি বিক্রি করেন তিনি।

এ ঘটনায় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউনুচ আলী মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে দুদকের সহকারী পরিচালক ২০০৭ সালের ১৮ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ওই বছরের ২০ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

এ মামলার চার্জগঠনের আদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা উচ্চ আদালতে গেলে মামলার বিচারকাজে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। যে কারণে দীর্ঘবছর বিচারকাজ বন্ধ ছিল।

এমপি হারুন টপ নিউজ শুল্কমুক্ত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর