Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রামে ঘোষণা ছাড়াই বন্ধ গণপরিবহন, দুর্ভোগে যাত্রীরা


২১ অক্টোবর ২০১৯ ১৫:২০

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ভ্রাম্যমাণ আদালতে চালক-মালিকদের সাজার পর চট্টগ্রাম নগরীতে আকস্মিকভাবে গণপরিবহন চালানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা। সোমবার (২১ অক্টোবর) ভোর থেকে চট্টগ্রাম নগরীর ১৩টি রুটে একযোগে বাস, মিনিবাস, হিউম্যান হলার ও টেম্পো চালানো বন্ধ হয়ে যায়।

ভোরের দিকে বিভিন্ন সড়কে হাতেগোণা কিছু টেম্পো দেখা গেলেও সকাল গড়াতেই তাও বন্ধ হয়ে যায়। নগরীর বিভিন্ন সড়কে ব্যক্তিগত যানবাহন এবং রিকশা-অটোরিকশা ছাড়া তেমন কোনো গাড়ি চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে না।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) তারেক আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, “বাস মালিক ও শ্রমিককে কারাদণ্ড দিয়েছেন বিআরটিএ’র ম্যাজিস্ট্রেট। এজন্য মালিকরা রাস্তায় গাড়ি না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে শুনেছি। যদিও এটি বিআরটিএ’র বিষয়, কিন্তু আমরা গণপরিবহনের মালিকদের অনুরোধ করেছিলাম তারা যাতে রাস্তা থেকে গাড়ি উঠিয়ে না নেন। কিন্তু ওনারা গাড়ি চালাচ্ছেন না।”

এর আগে, রোববার দুপুরে নগরীর বহদ্দারহাটে ফিটনেসবিহীন বাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালান বিআরটিএ ম্যাজিস্ট্রেট মনজুরুল হক। এসময় ১০ নম্বর রুটের একটি বাসের মালিক মনির হোসেনকে ১৫ দিন, চালক শামীম উদ্দিন ও হেলপার মোহাম্মদ আলমগীরকে একমাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এ ঘটনার পর ঘোষণা না দিয়ে আকস্মিক গণপরিবহন চালানো বন্ধ কয়ে দেওয়ায় সোমবার সকাল থেকে দুর্ভোগে পড়ে মানুষ। বিশেষ করে সকালে কর্মস্থলমুখী মানুষের ভোগান্তি চরমে ওঠে। গণপরিবহন না থাকায় রিকশা-অটোরিকশার বাড়তি ভাড়াও গুণতে হয়েছে যাত্রীদের।

সকালে বোয়ালখালী থেকে নগরীতে আসা প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অভি নন্দী সারাবাংলাকে বলেন, ‘কালুরঘাট সেতু পার হয়ে কাপ্তাই রাস্তার মাথা পর্যন্ত আসার পর আর কোনো গাড়ি পাচ্ছিলাম না। শত, শত মানুষ গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে আছে। কোনোমতে একটি টেম্পু এলে অনেকে সেটাকে ঘিরে ধরছে। পরে রিকশায় করে বহদ্দারহাট আসি। সেখান থেকে আরেক রিকশায় জিইসি মোড় গিয়ে ক্যাম্পাসে আসি।’

সকাল থেকে নগরীর কাজির দেউড়ি, ইস্পাহানী মোড়, ওয়াসা, দুই নম্বর গেইট, টাইগার পাস, বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় অফিসমুখো লোকজনকে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদেরও ভোগান্তি পোহাতে দেখা গেছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব বেলায়েত হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘সাংগঠনিকভাবে আমরা কোনো ধর্মঘট ঘোষণা করিনি। কিন্তু গতকাল আমাদের একজন মালিক ও দুই জন শ্রমিককে সাজা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ভীতির সঞ্চার হয়েছে। মালিকরা রাস্তায় গাড়ি নামাননি। আজ (সোমবার) আদালতে তাদের জামিন শুনানি আছে। বিকেলের দিকে আমরা একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবো বলে আশা করছি।’

গণপরিবহন সংকট চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘট বাস


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর