ঢাকা: সৌদি আরব সরকারের ধরপাকড়ে আরও ৭০ প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিক দেশে ফিরেছেন। এ নিয়ে গত সৌদি আরব থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশির সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬ হাজারে।
বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম সোমবার (২১ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি সৌদি থেকে ফেরত আসা কর্মীদের বিমানবন্দরে প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় খাবার-পানিসহ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দিতে জরুরি সহায়তা করেছে।
ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সর্বশেষ রোববার (২০ অক্টোবর) রাত ১১টা ২০ মিনিটে সৌদি আরবের জাতীয় এয়ারলাইন্স সৌদিয়ার SV 804 ফ্লাইটে দেশে ফেরত এসেছেন ৭০ বাংলাদেশি।
ফেরত আসা কর্মীদের মধ্যে কুমিল্লার আবুল হোসেন, আলমগীর হোসেন, নওগাঁর রাইসুল ইসলাম, হবিগঞ্জের তরিত মিয়া, নাটোরের রিদয় হোসেন, নারায়ণগঞ্জের মো. জসীম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আজিজুর, জামালপুরের আব্দুল খালেকসহ প্রায় সবারই অভিযোগ, সৌদি আরবে কাজ করার জন্য বৈধ অনুমতিপত্র (আকামা) ঠিক থাকা সত্ত্বেও মিথ্যা অভিযোগ এনে তাদের দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শ্রমিকরা বলছেন, কর্মস্থলে যাওয়ার পথে, মসজিদে নামাজ পড়াতে যাওয়ার সময়, কর্মস্থলে কর্মরত অবস্থায় কিংবা বাজার করতে বের হলে পথ থেকে ধরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশিদের। আকামা দেখানোর পরও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীরা। তারা আরও জানান, নিয়োগকর্তা বা কফিলও এই মিথ্যাচারের কোনো দায়-দায়িত্ব নিচ্ছে না।
বিমানবন্দরে প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ৯ মাসে সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ট্রাভেল পাস নিয়ে ৩৬ হাজার ৭৫৩ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে কেবল সৌদি আরব থেকেই ফিরেছেন ১৬ হাজার বাংলাদেশি।
এ প্রসঙ্গে ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, চলতি বছর এখন পর্যন্ত অন্তত ১৬ হাজার বাংলাদেশিকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সাধারণ ফ্রি ভিসার নামে গিয়ে এক নিয়োগকর্তার বদলে আরেক জায়গায় কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়ে ফেরত আসছেন অনেকে। কেউ কেউ খরচের টাকাও তুলতে পারছেন না। সমস্যা সমাধানে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর উচিত কাজ নিশ্চিত করে তবেই তাদের পাঠানো। যারা আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে যাচ্ছেন, তাদেরও সতর্ক ও সচেতন হওয়া উচিত।