Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিজিএমইএ ভবন ভাঙা শুরু হচ্ছে আগামী সপ্তাহে


২১ অক্টোবর ২০১৯ ২২:৫৫

ঢাকা: হাতিরঝিলে অবস্থিত বিজিএমইএ ভবনটি ভাঙার চূড়ান্ত সময় অবশেষে নির্ধারণ করা হয়েছে। ‘হাতিরঝিলের ক্যানসার’ হিসেবে পরিচিত ভবনটি ভাঙার কাজ আগামী সপ্তাহে শুরু হবে। সে অনুযায়ী ভবনে থাকা পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র মালামাল সরিয়ে নিতে শেষবারের মতো সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরুও হয়েছে।

সোমবার (২১ অক্টোবর) রাতে সারাবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী এ এস এম রায়হানুল ফেরদৌস। তিনি বলেন, ওই ভবন থেকে বিজিএমইএ মালামাল সরিয়ে নিতে শুরু করেছে আজ (সোমবার)। মালামাল সরিয়ে নিতে তাদের সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। এরপর আগামী সপ্তাহেই ভবনটি ভাঙ্গা শুরু হবে।

বিজ্ঞাপন

সর্বোচ্চা দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স সালাম অ্যান্ড ব্রাদার্সের সঙ্গে এখনো চুক্তি হয়নি জানিয়ে রাজউকের এই প্রকৌশলী বলেন, দুয়েকদিনের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি সইয়ের কাজটি করা হবে।

আরও পড়ুন- বিজিএমইএ ভবন ভাঙায় ৪ মাসেও কোনো অগ্রগতি নেই

রায়হানুল এর আগেই জানিয়েছিলেন, শুরুতে ডিনামাইট ব্যবহার করে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার পরিকল্পনা থাকলেও পরে তা থেকে সরে আসে রাজউক। সনাতন পদ্ধতিতেই ভবনটি ভাঙতে দরপত্র আহ্বান করা হয়। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ভবনটি ভাঙার জন্য নির্বাচিত হয়েছে সালাম অ্যান্ড ব্রাদার্স।

এর আগে, গত ১৬ এপ্রিল হাতিরঝিলের বিজিএমইএ ভবন ভাঙার প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওই সময় ভবনে থাকা মালামালা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই দিনই ভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে আবারও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভবনটিতে থেকে যাওয়া মালপত্র সরিয়ে নেওয়ার অনুমতি দেয় রাজউক। এর প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস পর ভবনটি ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে একটি জাতীয় দৈনিকে বিজিএমইএ ভবন নির্মাণে রাজউকের অনুমোদন না থাকার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। পত্রিকার প্রতিবেদনটি হাইকোর্ট নজরে নিয়ে ‘ভবনটি কেন ভাঙা হবে না?— তা জানতে চেয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। পরে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলতে রায় দেন। এরপর আপিল ও রিভিউয়ে ভবনটি ভাঙার সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে দফায় দফায় সময় প্রার্থনা করে বিজিএমইএ।
গত বছরের ৩ এপ্রিল বিজিএমইএকে এক বছরের সময় দেন সর্বোচ্চ আদালত। আদালতের বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হয় এ বছরের ১২ এপ্রিল। পরে ১৬ এপ্রিল বিজিএমইএ ভবন ভাঙার প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়।

বিজিএমইএ ভবন বিজিএমইএ ভবন ভাঙা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর