রাজকীয় ও সামরিক খেতাব হারালেন থাইল্যান্ডের রাজসঙ্গিনী
২২ অক্টোবর ২০১৯ ১২:১৭
রাজতন্ত্রের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে থাইল্যান্ডের রাজা মহা বাজিরালংকর্ণ রাজসঙ্গিনী সিনেনাত্রা অংবাজিরাভাকড়ির সকল সামরিক ও রাজকীয় খেতাব প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) থাইল্যান্ডের রাজকীয় ঘোষণার বরাতে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
রাজকীয় সূত্র জানায়, উচ্চাভিলাষী সিনেনাত্রা নিজেকে রানির সমপর্যায়ের ভাবা শুরু করেন। অভিযোগ রয়েছে তিনি রাজার নাম ব্যবহার করে নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধিমূলক বিভিন্ন কাজের সাথে জড়িত ছিলেন। রাজা ও রানির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রও করছিলেন তিনি। রাজতন্ত্রের বিভিন্ন পর্যায়ে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের একাধিক অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় থাইল্যান্ডের রাজা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর আগে, জুলাইয়ে ৬৭ বছর বয়সী থাই রাজা বাজিরালংকর্ণ ৪১ বছর বয়সী সুথিদাকে চতুর্থ স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন। সুথিদা এবং সিনেনাত্রা একই সাথে রাজকীয় নিরাপত্তা ইউনিটের কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করতেন। পরবর্তীতে প্রকাশ্য ঘনিষ্ঠতার সূত্রে সুথিদাকে রাজা বিয়ে করলে সিনেনাত্রাকে রাজসঙ্গিনী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
৩৪ বছর বয়সী সিনেনাত্রা একজন মেজর জেনারেল, প্রশিক্ষিত পাইলট, নার্স এবং দেহরক্ষী। একশ বছরের মধ্যে তিনিই প্রথম রাজসঙ্গিনী পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। তার খেতাব ছিল চাও খুন ফ্রা সিনেনাত্রা বিলাসকল্যাণী।
এদিকে, রাজা বাজিরালংকর্ণের দীর্ঘদিনের সহচরী এই সিনেনাত্রা। এমনকি সুথিদাকে বিয়ে করার পরও বিভিন্ন রাজকীয় আয়োজনে সিনেনাত্রাকে দেখা গেছে ঘনিষ্ঠভাবে রাজার সাথে চলাচল করতে। তার বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজার এমন সিদ্ধান্তের পর তিনি যেন হুট করেই এক কঠোর বাস্তবতার মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, রাজসঙ্গিনীর এই খেতাব কেড়ে নেওয়ার প্রকৃত কারণ কখনোই জনসম্মুখে আসবে না। কারণ থাইল্যান্ডে আইনের মাধ্যমে রাজকীয় সম্মান সু্রক্ষিত করা আছে। রাজতন্ত্র অপদস্ত হয় এরকম কোনো তথ্যই তারা জনসম্মুখে প্রকাশ করে না।
১৯৯৬ ও ২০১৪ সালে থাই রাজা যথাক্রমে তার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্ত্রী এবং তার সন্তানদের একই ভাবে প্রত্যাখান করেছিলেন। পরে তারা যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানিতে গিয়ে বসবাস শুরু করেন।
খেতাব থাইল্যান্ড রাজকীয় রাজতন্ত্র রাজসঙ্গিনী সামরিক সিনেনাত্রা