আবরার হত্যায় দোষ স্বীকার সাদাতের
২২ অক্টোবর ২০১৯ ১৮:৪২
ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি এস এম নাজমুস সাদাত (২০) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) আসামি সাদাত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এর আগে, বুধবার (১৬ অক্টোবর) সাদাতের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ভোররাত সাড়ে ৩টায় দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় সাদাতকে। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) যন্ত্রকৌশল বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। এজাহারে ১৫ নম্বরে তার নাম রয়েছে।
গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার সহপাঠীদের অভিযোগ, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। পরে আবরারের বাবা বাদী হয়ে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয় ১৯ জনকে।
আবরারকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে ঘটনার সময়ে শেরেবাংলা হলের ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য আলামত থেকে ১৯ জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। আবরার হত্যায় তার বাবা বরকত উল্লাহও চকবাজার থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে তাদের আসামি হিসেবে মামলা দায়ের করেছেন। এজাহারভুক্ত আসামিদের প্রত্যেকেই বুয়েটের শিক্ষার্থী ও বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন— মেহেদী হাসান (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৩তম ব্যাচ), মুহতাসিম ফুয়াদ (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৪তম ব্যাচ), অনীক সরকার (১৫তম ব্যাচ), মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), ইফতি মোশারফ হোসেন সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), মনিরুজ্জামান মনির (পানিসম্পদ, ১৬তম ব্যাচ), মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), মাজেদুল ইসলাম (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোজাহিদুল (ইইই, ১৬তম ব্যাচ), তানভীর আহম্মেদ (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), হোসেন মোহাম্মদ তোহা (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৭তম ব্যাচ) , জিসান (ইইই, ১৬তম ব্যাচ), আকাশ (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৭তম ব্যাচ), শাদাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৭তম ব্যাচ), তানীম (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৭তম ব্যাচ) ও মোয়াজ, মনতাসির আল জেমি (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বিভাগ)।
আবরার হত্যা এস এম নাজমুস সাদাত বুয়েট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী