স্বাস্থ্য বিভাগের যন্ত্রাংশ কেনায় হরিলুট, স্টোরর কিপার কারাগারে
২২ অক্টোবর ২০১৯ ২০:৩৩
সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যন্ত্রাংশ কেনায় অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় জেলা সিভিল সার্জন অফিসের স্টোর কিপার একেএম ফজলুল হককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে সাতক্ষীরা সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিচারক শেখ মফিজুর রহমান এই নির্দেশনা দেন। এদিন একেএম ফজলুল হক আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন। এর আগে দীর্ঘদিন তিনি পালিয়ে ছিলেন।
সূত্র জানায়, সাতক্ষীরা জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যন্ত্রাংশ কেনায় অনিয়মের প্রতিবাদে নানা কর্মসূচি পালন করে সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ। বিষয়টি গণমাধ্যমেও উঠে আসে। এরপর দীর্ঘ তদন্ত শেষে দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক জালালউদ্দিন বাদী হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় স্বাস্থ্য বিভাগের যন্ত্রাংশ কেনায় ১৬ কোটি টাকা ৬১ লাখ টাকা লোপাটের অভিযোগ আনা হয়।
এতে তৎকালীন জেলা সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুর রহমান, স্টোর কিপার একেএম ফজলুল হক, হিসাবরক্ষক আনোয়ার হোসেন, ঢাকার ২৫/১ তোপখানা রোডের বেঙ্গল সায়েন্টেফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির কর্ণধার মো. জাহের উদ্দিন সরকার, তার ছেলে মো. আহসান হাবিব, জাহের উদ্দিনের বাবা মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার হাজী আবদুস সাত্তার সরকার এবং তার ভগ্নিপতি ইউনিভার্সেল ট্রেড করপোরেশনের কর্ণধার মো. আসাদুর রহমান, জাহের উদ্দিন সরকারের নিয়োগ করা প্রতিনিধি কাজী আবু বকর সিদ্দিক ও মহাখালী নিমিউ অ্যান্ড টিসির সহকারী প্রকৌশলী এএইচএম আব্দুল কুদ্দুস আসামি করা হয়েছে।
এর আগে ডা. তৌহিদুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, জাহের উদ্দিন সরকার, হাজী আবদুস সাত্তার, আসাদুর রহমান ও আব্দুল কুদ্দুসসহ ছয়জনকে কারাগারে পাঠিয়েছিল নিম্ন আদালত। বর্তমানে তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। মামলার আসামি আহসান হাবিব ও কাজী আবু বকর সিদ্দিক এখনো পলাতক।
দুদক’র পিপি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান দিলু সারাবাংলাকে বলেন, একেএম ফজলুল হকের ওপর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ছিল। আজ জামিন নিতে গেলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।