চট্টগ্রামে জামায়াত-শিবিরের ১৮ নেতাকর্মী কারাগারে
২২ অক্টোবর ২০১৯ ২২:৩৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানার বগারবিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা জামায়াত-শিবিরের ১৮ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আটক ২২ জনের মধ্যে চার জনকে ছেড়ে দিয়ে বাকি ১৮ জনকে সুনির্দিষ্ট মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছিল পুলিশ।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ১৮ জনকে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু সালেম মো. নোমানের আদালতে হাজির করা হয়।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আটক ২২ জনের মধ্যে চারজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৮ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় তাদের আদালতে পাঠিয়ে সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। আদালত বুধবার রিমান্ড শুনানির সময় নির্ধারণ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।’
এর আগে সোমবার (২১ অক্টোবর) গভীর রাতে বাকলিয়া থানার বগারবিল এলাকায় জে এস টাওয়ারের সামনে থেকে ২২ জনকে আটক করে পুলিশ।
ওসি নেজাম জানিয়েছেন, ভোলায় সাম্প্রতিক সহিংসতার পর চট্টগ্রাম নগরীতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে তারা জড়ো হয়েছিল। আটকের পর তাদের দেখানোমতে জে এস টাওয়ারের চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে জিহাদি বই, লাঠি, ককটেল, কাচেঁর বোতল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে আছেন- ওমর ফারুক (৪৭), আব্দুল করিম (১৮), রাকিবুল হাসান (২১), আবু ওবাইদা (১৯), মিজবাহ উদ্দীন হাবিব (২৪), আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ (১৮), মো. সাইমন (২৩), মো. শরীফুল (২১), আমির হোসেন (১৮), সাজ্জাদুল ইসলাম সবুজ (২০), মিজানুর রহমান (১৮), মো. ফরহাদ (১৮), মো. সাকিল (১৮), আব্দুল মোমেন (১৯), মো. সাহেদ (৪৯), কামরুল ইসলাম (৪০), নুরুল হুদা (২২) এবং মো. আশরাফুল (২৪)।
এদের মধ্যে আশরাফুল নগরীর কোতোয়ালী থানা, মিজবাহ উদ্দীন হাবিব সরকারী হাজী মুহম্মদ মহসীন কলেজ, রাকিবুল হাসান নগরীর চন্দনপুরার দারুল উলুম মাদ্রাসা এবং মো. সাইমন নগরীর দেওয়ান বাজার ওয়ার্ড ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি বলে পুলিশ জানিয়েছে।