এইচআইভি পজেটিভ মাদকসেবীদের নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন দক্ষ কর্মী
২৩ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:২৮
ঢাকা: এইচআইভি পজেটিভ মাদকসেবীদের চিকিৎসা, কাউন্সেলিং ও সমাজে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর লক্ষ্যে আরও বেশি সংখ্যক দক্ষ ‘কেইস ওয়ার্কার প্রয়োজন বলে মনে করছে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অভিজ্ঞতা বিনিময়কালে বক্তরা এসব কথা বলেন। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) ও ইউএনএইডস এর অর্থায়নে সেভ দ্য চিলড্রেনের উদ্যোগে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। এতে এইচআইভি পজেটিভ মাদকাসেবীদের কেইস ম্যানেজমেন্ট প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করতে এক বছরের একটি কার্যক্রম শেষে অনুষ্ঠানে তার অর্জন ও অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ সাইদুর রহমান। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর ডাঃ মোঃ সামিউল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইউএনএইডস বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ডাঃ সায়মা খান, সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এইডস/এসটিডি প্রোগ্রামের ডিরেক্টর ডাঃ মো: আমিনুল ইসলাম মিয়া, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের হেলথ, নিউট্রিশন অ্যান্ড এইচআইভি ডাঃ শামিম জাহান, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের এইচআইভি/ এইডস প্রোগ্রামের চিফ অফ পার্টি ডাঃ লিমা রহমান।
অনুষ্ঠানে ব্ক্তরা বলেন, এইচআইভি রোধে সেভ দ্য চিলড্রেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হল এইচআইভি পজেটিভ মাদকসেবীদের চিকিৎসা ও অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (এআরটি) নিশ্চিত করা। এরই অংশ হিসেবে ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে সেভ দ্য চিলড্রেন এইচআইভি পজেটিভ ব্যক্তিদের জন্য ‘কম্প্রিহেন্সিভ ড্রপইন সেন্টার (সিডিআইসি)’ চালু করে। এর মধ্যে মাদকসেবীদের এইডস মোকাবেলায় অন্যান্য ক্ষতি হ্রাস করার সাথে সাথে নিয়ম মেনে চলা ও সেবা গ্রহণ প্রক্রিয়া ধরে রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
তারা আরো বলেন, ঢাকা ভিত্তিক ড্রপইন সেন্টারগুলো ‘কেইস ওয়ার্কার হিসেবে সেবাদানকারীদের নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে ‘কেইস ম্যানেজমেন্ট শুরু করে। এই পদ্ধতিতে কেইস ওয়ার্কার প্রতিটি রোগীকে আলাদা করে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকেন। কেইস ওয়ার্কাররাই মূলত এই পদ্ধতির কেন্দ্রবিন্দু।
অনুষ্ঠানে আরো বলা হয়, এই প্রকল্পের শুরুতে কেস ওয়ার্কারদের জ্ঞান, মনোভাব এবং অনুশীলনের মূল্যায়ন (কেএপি স্টাডি) করা হয়। মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে, চাকরির জন্য সহায়ক হিসেবে প্রশিক্ষণ মডিউল এবং ফ্লিপচার্ট তৈরি করা হয়।এরমধ্যে সমস্ত কেইস ওয়ার্কারদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এছাড়াও, আইসিটি ভিত্তিক ডেটা সংগ্রহের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনও তৈরি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য মাদকসেবীদের মধ্যে দ্রুত অবস্থান পরিবর্তন করার সত্ত্বেও বর্তমানে ঢাকা, গাজিপুর ও নারায়ণগঞ্জের ড্রপইন সেন্টারগুলো থেকে ৬৬৮ জন এআরটি নেওয়া এইচআইভি পজেটিভ মাদকসেবীদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও এইচআইভি পজেটিভ মাদকসেবীদের মধ্যে সেবা প্রদানের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করতে বাংলাদেশে প্রথমবারের রিয়েল-টাইম বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহ চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পে সেভ দ্য চিলড্রেনের সাথে সহযোগী সংস্থা হিসেবে কাজ করছে কেয়ার বাংলাদেশ এবং মুক্ত আকাশ বাংলাদেশ।