Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘নিউইয়র্ক, টরেন্টোতে সরাসরি ফ্লাইট চালানোর চেষ্টা চলছে’


২৩ অক্টোবর ২০১৯ ১৩:০৫

ঢাকা: আকাশপথে বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে কাজ করছে সরকার। সেই লক্ষ্যেই নিউইয়র্ক, টরেন্টো সিটির মত দুরবর্তী গন্তব্যে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনায় সিভিল এ্যাভিয়েশনকে উন্নত করা হচ্ছে। এছাড়া, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত, নেপাল, ভুটানের লাগোয়ো প্রদেশগুলোর ব্যবহারের জন্য সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে তৈরি করতে কাজ শুরু হয়েছে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ বিমান এবং বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের যৌথ আয়োজিত ৬ষ্ঠ ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট সেফটি সেমিনার-২০১৯ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি জানান, গত পৌঁনে এগার বছরে বিমান বহরে বোয়িং কোম্পানির চারটি অত্যাধুনিক ড্রীমলাইনারসহ মোট ১০টি বিমান সংযুক্ত করেছি। কারণ আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বের সাথে আমাদের যোগাযোগ আকাশপথে স্থাপন করতে চাই। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আশা করি, আমরা নিউইয়র্ক, টরেন্টো সিটির মত দুরবর্তী গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারব, এই ব্যাপারে আগ্রহী। এই লক্ষ্যে সিভিল এভিয়েশন অথরিটিকে ক্যাটাগরি-এ’তে উন্নীত করণের কাজ এগিয়ে চলছে।

বিমান ভ্রমণ নিরাপদ, আরামদায়ক এবং সহজতর করার পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকার বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল স্থাপন করা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়িত হলে এখন আমরা যে পরিমাণ যাত্রী সেবা দিতে পারি। আগামীতে এর আড়াই গুণ বেশি অর্থ্যাৎ বছরে প্রায় ১২ মিলিয়নের বেশি বিমান যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আমাদের পাশ্ববর্তী দেশের (নেপাল, ভুটান ও ভারত) লাগোয়া যেসব প্রদেশগুলো আছে তারাও যাতে ব্যবহার করতে পারে সেই লক্ষ্য নিয়ে আমাদের সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসাবে গড়ে তুলতে চাই। ইতোমধ্যে তার কার্যক্রম শুরু করেছি। এটা আন্তর্জাতিক মানেরই একটি বিমানবন্দরে উন্নীত হবে।’

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কর্মসূচি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, সামরিক কৌশলগত দিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে একটি আধুনিক শক্তিশালী ও পেশাদার বিমানবাহিনী গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। ১৯৭৩ সালে সে সময় সব থেকে আধুনিক মিগ-২১ সুপারসনিক ফাইটার বিমান, পরিবহন বিমানসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

তিনি জানান, এরই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে বঙ্গবন্ধু এরোন্যাটিক্যাল সেন্টার স্থাপন করেছি। নিকট ভবিষ্যতে এই সেন্টারে যুদ্ধবিমানসহ বর্তমানে ব্যবহৃত বেসামরিক বিমানও মেরামত করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করছি। বিমান বাহিনীতে স্ট্রেট অফ থ্রিডি সিমুলেটর স্থাপন করা হয়েছে যা থেকে আমাদের পাইলট রিয়েল টাইম ফ্ল্যাইং’র অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশেষভাবে উপকৃত হচ্ছে।

তিন বাহিনীকে আধুনিক করে গড়ে তোলার জন্য ফোর্সেস গোল-২০৩০ গ্রহণ করেছি এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

চলতি বছরে ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন এন্ড এরোস্পেস ইউনিভার্সিটি বিল পাস করা হয়েছে। লালমনিরহাটে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানে বিশ্বমানের এভিয়েশন শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্য অর্জন করা হবে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় অচিরেই শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করবে বলে আশা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

আমাদের গৃহীত পদক্ষেপগুলো বিমান ভ্রমণকে আরও সহজতর করবে এবং পৃথিবীর অনেক দেশের সাথে নতুন নতুন রুট সৃষ্টিতে সহায়তা করবে। সেই সাথে আমাদের পর্যটন শিল্পের দ্রুত বিকাশ ঘটবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমাদের সরকার এ্যাভিয়েশন সেক্টরের মান উন্নয়নের জন্য বিশেষ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ফলে এই অঞ্চলে আমাদের বিমান বাহিনী ও বেসামরিক বিমানের ফ্লাইট সেফটি রেকর্ড অত্যন্ত সন্তোষজনক।

এবারের সেমিনারে ৪টি মহাদেশের ১৬টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নেয়।

অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মো মাহবুব আলী, বিমান বাহিনীর প্রধান মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী সৈয়দপুর বিমানবন্দর


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর