২৭৩০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত
২৩ অক্টোবর ২০১৯ ১৩:৩৭
ঢাকা: শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২ হাজার ৭৩০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার বা এমপিওভুক্তির ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২৩ অক্টোবর) গণভবনে তিনি এ তালিকা ঘোষণা করেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
এমপিওভুক্তির নির্দেশনা না মানলেই বাতিল: প্রধানমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সব যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। যাদেরকে এমপিওভুক্ত করা হলো তাদের এই যোগ্যতা ধরে রাখতে হবে।’
নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (৬ষ্ঠ-৮ম) ৪৩৯টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় (৬ষ্ঠ-১০ম) ৯৯৪টি, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় একাদশ থেকে দ্বাদশ ৬৮টি, কলেজ একাদশ থেকে দ্বাদশ ৯৩টি, ডিগ্রি কলেজ (১৩শ-১৫শ) ৫৬টি, মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দাখিল ৩৫৭টি, আলিম ১২৮টি, ফাজিল ৪২টি, কামিল ২৯টি। কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কৃষি ৬২, ভোকেশনাল ১৭৫ এবং এইচএসসি (বিএম) ২৮৩টি।
গতকাল ২২ অক্টোবর, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে বলেন, ‘নীতিমালা অনুযায়ী মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে তালিকা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর দেওয়া তথ্য ক্রস চেক করা হয়েছে। তালিকাটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানোর পরও কিছু যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আবারও পাঠানো হয়েছে। সব সঠিকতা যাচাই করেই এমপিওভুক্তির ফাইলে প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষর করেছেন। সর্বশেষ যে-সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করা হয়েছিল, এবার সংখ্যায় তার প্রায় দ্বিগুণ। তবে একটু দেরি হলেও গত জুলাই মাস থেকেই এই এমপিওভুক্তি কার্যকর হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে এমপিওভুক্ত হওয়াসহ সব প্রতিষ্ঠানকে নীতিমালা অনুযায়ী তাদের মান ধরে রাখতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান এতে ব্যর্থ হলে তাদের এমপিও সাময়িক স্থগিত করা হবে। পুনরায় যোগ্যতা অর্জন করতে পারলে আবারও এই সুবিধার আওতায় আনা হবে। এমপিও পেয়ে গেছে ভেবে হাল ছেড়ে দিলে তারা বিপদে পড়বে।’
‘প্রথমে ব্যক্তি উদ্যোগে স্কুল-কলেজ মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার সময় তারা এই মর্মে মুচলেকা দেন যে তারা নিজস্ব অর্থায়নে এই প্রতিষ্ঠানগুলো চালাবেন। কখনও সরকারের কাছে বেতন ভাতা চাইবেন না। কিন্তু প্রতিষ্ঠার কয়েকবছরের মধ্যেই এমপিওভুক্তির আবেদন করেন। এবং সময় সময় এমপিওর দাবিতে আমরণ অনশনের মতো কঠিন কর্মসূচিও পালন করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা’- বলেও জানান তিনি।