Monday 21 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এমপিওভুক্তির নির্দেশনা না মানলেই বাতিল: প্রধানমন্ত্রী


২৩ অক্টোবর ২০১৯ ১৩:৪১

ঢাকা: যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হলো, চাহিদা অনুযায়ী তাদের নির্দেশনাগুলো মানতেই হবে, তা না হলে এই সুবিধা বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) গণভবনে নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

২৭৩০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের কথা হচ্ছে, নীতিমালায় যেসব নির্দেশনা রয়েছে। যারা এই নির্দেশনা পূর্ণ করতে পারবেন। সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আসলেই প্রয়োজন আছে, সেসব বিবেচনা করেই আমরা এমপিওভুক্ত দেব। যারাই এমপিওভুক্ত হবেন, তাদেরকে এই নির্দেশনাগুলি মানতে হবে।

‘আর যাদেরকে আমরা এখন এমপিওভুক্ত করলাম, তাদের কাছে আমার আহ্বান, আপনারা নীতিমালা অনুযায়ী সকল নির্দেশনা পূর্ণ করতে পেরেছেন বলেই এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। কাজেই এটা ধরে রাখতে হবে। কেউ যদি এটা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়, সাথে সাথে তার এমপিওভুক্তি বাতিল হবে। কারণ এমপিওভুক্ত হয়ে গেছে, বেতন তো পাবই। আর ক্লাশ করার দরকার কি? চালানোর দরকার কি? এই চিন্তা করলে কিন্তু চলবে না।’

এমপিওভুক্তির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা দীর্ঘদিনের একটা চাহিদা। আমরা গত বছর থেকে এই কাজ করেছি। সবার চেষ্টায় আজ একটা তালিকা করে এমপিওভুক্তের ঘোষণা দিতে পারলাম। তাদের কাছে আমার এটাই দাবি থাকবে যে, এখন এমপিওভুক্ত হয়ে গেছে কাজেই শিক্ষার মান এবং শিক্ষার পরিবেশটা যেন আরও সুন্দর হয়।

জাতির পিতা বলেছিলেন, সোনার বাংলা গড়ার জন্য আমার সোনার ছেলেমেয়ে দরকার। সেই সোনার ছেলেমেয়েই যেন তৈরি হয়। কারণ, শিক্ষকরাই তো মানুষ গড়ার কারিগর। তাদের উপরেই এই দায়িত্বটা বর্তায়। কাজেই তারা সেটা করবেন। ইনশাল্লাহ, বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসাবে গড়ে তুলব।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থীরা যাতে স্কুল পর্যায় থেকেই কারিগরি শিক্ষা বা ভোকেশনাল ট্রেনিং যাতে নিতে পারে সে দিকে লক্ষ্য রেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। কারণ আমাদের ছোট-ছোট বাচ্চাদের ভেতরে অনেক মেধা লুকিয়ে থাকে। তারা অনেক কিছু তৈরি করতে পারে। সেটা বিকাশের একটা সুযোগ আমাদের করে দেওয়া দরকার। শুধু উচ্চশিক্ষা নিয়ে, ডিগ্রী নিয়ে তো লাভ নাই। তাকে তো কিছু কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। কিছু করে খেতে হবে। সেটার ব্যবস্থা যাতে করতে পারি, যা দেশে-বিদেশে যেখানেই হোক। সেটাকেও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। বলেন প্রধানমন্ত্রী।

১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এমপিওভুক্ত নিয়ে বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আগে যারা এমপিওভুক্ত ছিল তাদের বেতনের টাকাটা সরাসরি ওই প্রতিষ্ঠানে চলে যেত। যার ফলে অনেক সময় তাদের কাছ থেকে একটা নালিশ আসত যে তারা ঠিকমত বেতন পায় না। তখন আমরা ঠিক করি যে, যার যার বেতন তার তার কাছে সরাসরি চলে যাবে এবং প্রতি মাসে একটা পেমেন্ট অর্ডারের মাধ্যমে যার নামে তার টাকাটা চেকে পৌঁছে যাবে।

‘এটা করে দেখা গেল, প্রায় ৬০ হাজার ভুয়া শিক্ষক ছিল। যাদের নামে আগে টাকা যেত। যখন আমরা প্রতিজনের নামে নামে মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার দিয়ে টাকা পাঠাতে শুরু করলাম, তখন সেখানে প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষককের আর কোনো খোঁজ পাওয়া গেল না।’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

যত্রতত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠা ঠেকাতে একটা নীতিমালা তৈরি করার প্রচণ্ড দাবি ছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাতে একটু সময় লেগে যায়। কিন্তু নীতিমালা ধরে যাচাই বাছাই করে তারপরে এই তালিকাটা প্রণয়ন করা হয়েছে এবং তার মধ্যে আমরা পেয়েছি এখন ২৭৩০টি প্রতিষ্ঠান। যেটা আমরা এমপিওভুক্ত করেছি।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর