‘ডিএনসিসির ১৫টি ফুটওভার ব্রিজে যুক্ত হবে চলন্ত সিঁড়ি’
২৪ অক্টোবর ২০১৯ ২২:৫৩
ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার ১৫টি ফুটওভার ব্রিজে চলন্ত সিঁড়ি যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহিত করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হল মার্কেট এলাকায় ডিএনসিসির উদ্যোগে নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল ‘পুশ বাটন সিগন্যাল’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান। ওই এলাকার গ্রিন হেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘শহরে সবাই আমরা নাগরিক। কিন্তু সুনাগরিক কয়জন। আমরা শুধু নাগরিক চাই না। চাই সু-নাগরিক। যাদের দ্বারা প্রকৃত সোনার বাংলা গড়া সম্ভব। আমরা দেখি, শহরে যারা নাগরিক তারাই শহরকে দূষিত করে ফেলছে। রাস্তা দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছে, হঠাৎ গাড়ির গ্লাস নামিয়ে ময়লা ফেলে দিয়ে চলে যাচ্ছে। আবার পথচারীরা সুন্দর সুন্দর ফুটওভারব্রিজ থাকার পরও যত্রতত্র রাস্তা দিয়ে পারাপার হচ্ছেন। এতে তার নিজের জন্যও ঝুঁকি। আবার যিনি রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছেন তার জন্যও ঝুঁকি। আমাদের এই মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সকলের প্রচেষ্টা হল এই নাগরিকদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। সেজন্য সকলের সহযোগিতা দরকার।তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ডিএনসিসি এলাকার ১৫টি ফুটওভার ব্রিজে এস্কেলেটর (চলন্ত সিঁড়ি) যুক্ত করা হবে। এতে শিশু বৃদ্ধ যুবক সকলে নির্বিঘ্নেই ফুটওভার ব্রিজ এর মাধ্যমে সব পারাপার হতে পারবে। আমরা চাই পথচারীরা এতে উৎসাহিত হোক।
অনুষ্ঠোনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘আমাদের উচিত সন্তানদের সড়কের সিগন্যাল সংকেতগুলো সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া। যাতে তারা সড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে পারে এবং অন্যদেরকেও সচেতন করতে পারে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- গ্রিন হেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিন্সিপাল সিস্টার ভার্জিনিয়া আশা গমেজ, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ট্রাফিক) পশ্চিম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জসিম, স্থপতি সারাক রউফ চৌধুরী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, পুশ বাটন সিগন্যালে ক্যামেরা লাগানো আছে। পথচারি পারাপারের সময় যদি কোনো গাড়ি আইন না মানে তাহলে ওই গাড়ির বিরুদ্ধে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মামলা হয়ে যাবে। এই সিগন্যালে সড়ক পারাপারে ইচ্ছুক কোনো পথচারী পুশ বাটনে চাপ দিলে ডিজিটাল সিগন্যালে ‘কাউন্টডাউন’ শুরু হবে। নির্ধারিত সময় শেষ হলে পথচারীদের জন্য ‘সবুজ’ সংকেত ভেসে ওঠবে সিগন্যালে। অন্যদিকে যানবাহন চালকদের জন্য ভেসে ওঠবে ‘লাল’ সংকেত। অন্ধ পথচারীদের জন্য এই ডিভাইসে আছে ‘ভয়েস’ নির্দেশক সুবিধা।