তার খুব কষ্ট হচ্ছে, বিদেশে পাঠাতে চাই— খালেদার বোন সেলিমা
২৫ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:০৬
ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শরীর খুব খারাপ, তার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠাতে চান তার স্বজনরা।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তার মেজ বোন সেলিমা ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে এ আকুতি জানান।
তিনি বলেন, ‘তার (খালেদা জিয়ার) খুব কষ্ট হচ্ছে, শরীর খুবই খারাপ। সে (খালেদা জিয়া) উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে চায়। আমরা তাকে বিদেশে পাঠাতে চাই।’
‘আজকে দুই সপ্তাহ চিকিৎসক আসেনি; এরা আসেই না। কোনো চিকিৎসা এখানে দেওয়া হচ্ছে না। তাহলে অযথা এখানে ফেলে রাখছে কেন? আমরা তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে চাই। তিনি উঠতে পারেন না, বসতে পারেন না, নিজে হাতে খেতে পারেন না, কিছুই করতে পারেন না’— বলেন সেলিমা ইসলাম।
সেলিমা ইসলামের এই বক্তব্যের পর সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন, খালেদা জিয়া নিজেই যেতে চান নাকি আপনারা তাকে বিদেশ পাঠাতে চান— জবাবে তিনি বলেন, ‘উনি বলে নাই। আমরা বিদেশে পাঠাতে চাই। বিদেশে পাঠাতে চাই এই কারণে যে, এখানে যে চিকিৎসা দিচ্ছে, তাতে কিছুই হচ্ছে না। বরং দিন দিন খারাপ হচ্ছে।’
খালেদা জিয়ার শরীর খুব খারাপ, উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি বিদেশে যেতে চান, আপনারাও তাকে বিদেশে পাঠাতে চান। কিন্তু তার মুক্তির ক্ষেত্রে জামিন এবং প্যারোল— এই দুইটি বিষয় রয়েছে। তিনি কোনটির ব্যাপারে আগ্রহী— এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিমা ইসলাম বলেন, ‘এখনো তো কোনো কিছুই হয়নি। তারা (সরকার) যদি জামিন দেন, তাহলে যেতে পারবে।’
এদিকে খালেদা জিয়ার স্বজনদের বরাত দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেসউইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার জানান, স্বজনদের সঙ্গে আলাপকালে খালেদা জিয়া এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন যে, আদালত তার জামিন এবং মুক্তির ব্যাপারে ন্যায়সঙ্গত ও বিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত নেবেন।
সেলিমা ইসলামের সঙ্গে ছিলেন খালেদা জিয়ার ভাইয়ের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, ভাইয়ের ছেলে অভিক এস্কান্দার ও অতনু এস্কান্দার, তারেক রহমানের স্ত্রীর বড় বোন শাহিনা জামান খান বিন্দু।
গত বছর ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে গেলে এ বছরের এপ্রিল মাসে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার স্বজনরা মাঝে মাঝে দেখা করতে যান। দলীয় লোকজন এবং রাজনৈতিক সহকর্মীরাও তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছেন কয়েকবার।