Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘৩০ বছর আ’লীগ-বিএনপিকে দেখছেন, আর কত?’


২৫ অক্টোবর ২০১৯ ১৯:০৮

চট্টগ্রাম ব্যুরো: আওয়ামী লীগ-বিএনপি বাদ দিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের পতাকাতলে সমবেত হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে আয়োজিত এক গণসমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানিয়েছেন। বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার দ্রুত বিচার ও শিক্ষাঙ্গনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা, ভারতের সঙ্গে অসম চুক্তি বাতিল এবং চলমান দুঃশাসন রুখে দাঁড়ানোর দাবিতে এই গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়।

আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বাইরে আওয়ামী লীগ সরকারি আর বিএনপি বিরোধী দল, কিন্তু ভেতরে তারা এক। শেয়ার মার্কেট লুটের সময়, ব্যাংক লুটের সময় তারা একই দল। এক সময় ছিল হাওয়া ভবনের লুটপাট, এখন হচ্ছে ক্যাসিনো লুট। গুলশান ক্লাব আর চট্টগ্রাম ক্লাবের ভেতরে তারা এক, বাইরে শুধু সরকারি দল আর বিরোধী দল।’

সমাবেশে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এরশাদের পতন হয়েছে ৩০ বছর। ৩০ বছর ধরে তো আওয়ামী লীগ-বিএনপিকে দেখেছেন। আর কত দেখবেন? আওয়ামী লীগকে হটিয়ে বিএনপিকে আনলে কি হবে? একই তো হবে। আওয়ামী লীগের জায়গায় বিএনপি আসলে বিএনপির জায়গায় নেবে আওয়ামী লীগ। আপনাদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না। জনগণের মুক্তির জন্য গরিব-কৃষক-মেহনতি মানুষের দল বাম গণতান্ত্রিক জোটের পতাকাতলে আসতে হবে।’

শাহ আলম আরও বলেন, ‘ব্যাংক থেকে লক্ষ-কোটি টাকা লুট হচ্ছে। সেই টাকা কানাডা, লন্ডন, মালয়েশিয়ায় পাঠাচ্ছে সোনার ছেলেরা। এই টাকা কাদের টাকা? গরিব কৃষক-শ্রমিকের টাকা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, ভোট এলে আমরা কিন্তু সেই লুটেরাদের ভোট দিই।’

জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাবকে ‘ষড়যন্ত্রের চোরাপথ’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বলছেন জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া ওপর থেকে জাতীয় সরকার বসিয়ে দিলে কী হবে? আমরা ওয়ান-ইলেভেন দেখেছি, তারাই তো আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। লড়াই-সংগ্রাম ছাড়া ষড়যন্ত্রের কোনো চোরাপথে ক্ষমতায় যাওয়া বিশ্বাস করে না বাম গণতান্ত্রিক জোট। আওয়ামী লীগ-বিএনপিকে বাদ দেওয়া ছাড়া জনগণের মুক্তি আসবে না। ষড়যন্ত্রের চোরাপথেও মানুষের মুক্তি আসবে না।’

ভারতের সঙ্গে করা চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু যদি ইন্দিরা গান্ধীকে বলতে পারেন, আমার দেশ থেকে সেনাবাহিনী ফেরত নিন। তাহলে আজ শেখ হাসিনা কেন পারছেন না? কারণ মুজিবের পায়ের তলায় মাটি ছিল। জনগণের ভোট ছাড়া ক্ষমতায় আসা শেখ হাসিনার পায়ের তলায় মাটি নেই।’

গণসমাবেশে অংশ নিয়ে বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত অনেকের নাম প্রকাশ হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ নম্বরে আছে রাশেদ খান মেননের নাম। এক, দুই, তিন, চার বাদ দিয়ে মেননের নাম বারবার বলা হচ্ছে। কারণ মেনন বামপন্থী। এজন্য তারা শুধু মেননের নাম বলে। বিষয়টা এমন যে, একটা বামপন্থী তো পাওয়া গেল, যে ক্যাসিনোর টাকা খায়। আমরা মেননের আগে আরও যে চারজন আছে তাদের নাম জানতে চাই। তাদেরও বিচার চাই। শুধু চিকন আলীকে ফাঁসি দিলে হবে না।’

গণসংহতি আন্দোলন, চট্টগ্রামের সমন্বয়ক হাসান মারুফ রুমির সভাপতিত্বে গনসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য আনছার আলী, সিপিবি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অশোক সাহা, বাসদ চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়কারী অপু দাশগুপ্ত, ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল কাদেরী জয়।

গণসমাবেশ পরিচালনা করেন বাসদ নেতা শফিউদ্দিন কবির আবিদ। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বামজোটের নেতাকর্মীরা নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

আওয়ামী লীগ টপ নিউজ বাম গণতান্ত্রিক জোট বিএনপি রাশেদ খান মেনন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

আইভরি কোস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৩
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৪০

সম্পর্কিত খবর