গ্রাহকদের প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনছে চট্টগ্রাম ওয়াসা
২৭ অক্টোবর ২০১৯ ০১:১০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: পানির বিল পরিশোধের জন্য গ্রাহকদের প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনার একটি সিদ্ধান্ত পাস হয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসার বোর্ড সভায়। একই সভায় একটি ওয়াটার রিচার্স সেল করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) চট্টগ্রাম ওয়াসার ৫৩তম বোর্ড সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওয়াসার বোর্ড সদস্য বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী সভায় এসব প্রস্তাব আনেন। সর্বসম্মতিক্রমে দু’টি প্রস্তাবই পাস হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রি-পেইড মিটারের মাধ্যমে বিল দেওয়ার পদ্ধতি চালু হলে কার্ড কিনে ঘরে বসেই মিটারে রিচার্জ করতে পারবেন গ্রাহকেরা। প্রাথমিকভাবে পাইলট প্রকল্পের (পরীক্ষামূলক) আওতায় পাঁচ হাজার মিটারে এই পদ্ধতি কার্যকর করা হবে। সেই প্রকল্পে সাফল্য এলে ধারাবাহিকভাবে অন্যান্য মিটারগুলোতেও এই পদ্ধতির আওতায় আনা হবে।
প্রি-পেইড মিটার চালু হলে আবাসিক ও বাণিজ্যিক খাতের গ্রাহকরা দুই ধরনের সুবিধা পাবেন। বিল দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের আর হয়রানির শিকার হতে হবে না। এছাড়া ভুতুড়ে বিলের ঝামেলাও তাদের পোহাতে হবে না। আর গ্রাহকদের কাছে ওয়াসার কোনো বকেয়া পাওনা থাকবে না। তবে প্রি-পেইড মিটার চালুর আগে গ্রাহকদের তাদের বকেয়া বিল পরিশোধ করতে হবে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার গ্রাহক রয়েছেন ৭১ হাজার ১৩০ জন। এদের মধ্যে ৬৪ হাজার ১৯ জন গ্রাহক আবাসিক। বাকি সাত হাজার ১১১ জন গ্রাহক অনাবাসিক।
জানতে চাইলে ওয়াসার প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মাহমুদুল হক বলেন, ‘একজন বোর্ড সদস্যের প্রস্তাবনার ভিত্তিতে ওয়াসা প্রি-পেইড মিটার চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বোর্ড থেকে নির্দেশনা আসার পর প্রাথমিকভাবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এরপর দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাইলট প্রকল্প চালু হবে।’
এদিকে চট্টগ্রাম নগরীর ক্রমবর্ধমান মানুষের পানির চাহিদা পূরণে একটি ওয়াটার রিসার্চ সেল করার প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে সভায়।
বোর্ড সদস্য মহসীন কাজী সারাবাংলাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরের মানুষ ক্রমাগত বাড়ছে, পানির চাহিদাও বাড়ছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদা কিভাবে পূরণ হবে সে বিষয়ে ওয়াসার কোনো গবেষণা সেল নেই। পানির বিদ্যমান আধারগুলো সংরক্ষণ এবং নতুন নতুন উৎস সৃষ্টির বিষয়ে ওয়াসায় কোনো গবেষণা হয় না। রিচার্স সেল চালু হলে সেখানে গবেষণা হবে এবং তারা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেবে।’