অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে: প্রধানমন্ত্রী
২৭ অক্টোবর ২০১৯ ১৯:৫২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে পুনরায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, যারা অপরাধ করবে তাদের বিরুদ্ধে আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলবে। তিনি বলেন, ‘অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে, সে যেই হোক এবং যে দলই করুক না কেন।’ গতকাল শনিবার রাতে স্থানীয় হিলটন হোটেলে আজারবাইজানে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যদি আমাদের দলের কেউ ও অপরাধে জড়িত হয়, সে তৎক্ষণাৎ শাস্তি ভোগ করছে। অপরাধীরা অপরাধীই, আমরা অপরাধীদের অপরাধীর দৃষ্টিতেই দেখবো এবং আমরা সেটাই দেখার চেষ্টা করছি।’
‘অন্যকে শিক্ষা দেওয়াটা নিজের ঘর থেকেই শুরু করা উচিত’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমি সেটাই করছি (দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ) এবং আমি এটি অব্যাহত রাখবো।’
বিএনপি-জামায়াত সরকারের ব্যাপক দুর্নীতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের পাঁচ বছরের দুঃশাসনে দেশে দুর্নীতির কোন সীমা ছিল না।’ একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের হীন স্বার্থে বিভিন্ন বিষয়ে গুজব ছড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ করে তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উন্নত চিকিৎসার ব্যাপারে একজন প্রবাসীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী অন্যান্য বন্দিদের চেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা লাভ করছেন। বেগম জিয়ার ইচ্ছা অনুযায়ী একজন গৃহপরিচারিকা কারাগারে তার সাথে রাখা হয়েছে। তার মানে বেগম জিয়াকে কারাগারে সে সেবা করছে। কারাগারের ইতিহাসে বা কোন দেশে এমন নজির নেই কোনো নিরপরাধী গৃহপরিচারিকা একজন বন্দির সঙ্গে কারাগারে অবস্থান করে। কিন্তু খালেদা জিয়া সেই সুবিধা ভোগ করছেন।’
‘রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের সাথে আলোচনা চলছে। এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য ভাসানচরে আবাস গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু কিছু এনজিও তাদের সেখানে যেতে দিতে চায় না’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি দেশের আর্থ-সামজিক উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদানের কথা স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে আরো ১০টি বোয়িং এয়ারক্রাফট কিনে বিভিন্ন দেশের সাথে বিমান নেটওয়ার্ক বাড়াতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২টি ও কানাডা থেকে ৩টি বোয়িং বিমান ক্রয় করা হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, আজারবাইজানের দূত হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দিকী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।