কুড়িগ্রাম: বাস চালকের সহকারী শিপন হত্যা মামলায় আটক সোহেল ইসলামই মূল দোষী বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, সোহেল আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অন্যান্য প্রমাণও এসেছে আমাদের হাতে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান আরও বলেন, শিগগিরই সোহেলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেবে পুলিশ।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে শাহজালাল পরিবহনের একটি বাসের ভেতর থেকে শিপন নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মোটর শ্রমিকরা জানান, শিপন চালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতো। রাতে সে ওই বাসেই ঘুমাতো।
শিপনের বাড়ি ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের গছিডাঙ্গা গ্রামে। তার বাবার নাম মোজাম্মেল হক।
এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় এ পর্যন্ত পুলিশ তিনজনকে আটক করে। এরা হলেন, অন্য একটি বাসের হেলপার সোহেল ইসলাম (১৯), শহীদুল ও মোস্তফা। এদের মধ্যে সোহেলকে প্রধান আসামি করা হয়। তার বাড়ি শহরের কাশিয়াবাড়ীর হাল মাঝিপাড়ায়। সোহেলের বাবার নাম গোলজার হোসেন।
কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমানের আদালতে হাজির করা হলে হত্যার দায় স্বীকার করে সোহেল বলেন, এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন চুরি করতে তিনি এই হত্যাকাণ্ড চালান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেনহাজুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল উৎপল রায়, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান।