Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বিনামূল্যে বই বিতরণে এনসিটিবির দুর্নীতি তদন্তে কেন নির্দেশ নয়’


২৯ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:২১

ঢাকা: জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের মাধ্যমে বিগত বছরগুলোতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে বই বিতরণে কোনো দুর্নীতি হয়েছে কিনা তা তদন্তে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে নিম্নমানের কাগজ দিয়ে পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতেও রুল জারি করা হয়েছে।

এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, অর্থ সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, এনসিটিবির চেয়ারম্যান, সচিব এবং দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এনসিটিবি দুর্নীতি তদন্ত চেয়ে কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

পরে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আদালতে আমরা রিট দায়ের করেছি। আদালত আবেদেনের শুনানি নিয়ে এনসিটিবির দুর্নীতি তদন্তে কেন দুদককে নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে রুল জারি করেছেন। একইসঙ্গে নিম্নমানের কাগজ দিয়ে পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতেও রুল জারি করা হয়েছে।’

তিনি জানান, এনসিটিবির দুর্নীতি তদন্তে বাংলাদেশ পেপারস মিল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশনের কাছে একটি আবেদন করা হয়। কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন এনসিটিবির কাছে আইনি নোটিশ পাঠায়। তাতেও কোনো ফল না হওয়ায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

শুনানিতে আমরা আদালতে বলেছি, ‘প্রাইমারি স্কুলে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করার দায়িত্ব এনসিটিবির ওপর। তারা টেন্ডার আহবান করে। ওই টেন্ডারে সর্বনিম্ন দরদাতাদেরকে কাজ দেওয়া হয়। আমরা গত বছরের টেন্ডার ডকুমেন্ট পরীক্ষা করে দেখেছি, সেখানে সেকশন ৭-এ লেখা আছে কাগজের মান কেমন হবে। তারা যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করেছেন, বাজার থেকে তার নমুনা সংগ্রহ করেছি। সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে মতামত নিয়েছি। তাতে দেখা গেছে, বইগুলোতে যে কাগজ ব্যবহার করা হয়েছে তা একেবারে নিম্নমানের। বাজার তুলনা করে দেখা হয়েছে, এই কাগজ দিয়ে পাঠ্যপুস্তক ছাপানোয় ১৬০ কোটি টাকার মত দুর্নীতি হয়েছে।

দুদক নির্দেশ বিনামূল্যে বই বিতরণ হাইকোর্ট


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর