চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মোবাইল চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে খুনের মামলায় পুলিশের উপপরিদর্শকসহ (এসআই) দু’জনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম রবিউল আলম এ আদেশ দিয়েছেন।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম শেখ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে মামলার দুই আসামিকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতে হাজিরের পর বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।’
দুই আসামি হলেন— ঘটনার পর সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশের এসআই ইকবাল পারভেজ রায়হান ও তার ভগ্নিপতি মিজানুর রহমান।
পিটুনিতে মৃত এজাহার মিয়া (২৭) সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারি ইউনিয়নের বালুর রাস্তা এলাকার মফিজুর রহমানের ছেলে। এজাহার সীতাকুণ্ডে বিভিন্ন শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন।
একই এলাকায় পুলিশের এসআই ইকবাল পারভেজ রায়হানের বাড়ি। পুলিশ ও এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইকবাল পারভেজ রায়হান বর্তমানে প্রেষণে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের রিজার্ভ শাখায় কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের গুইমারা থানায় কর্মরত ছিলেন। ঘটনার পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত ২১ অক্টোবর রাতে বোনের মোবাইল চুরির সন্দেহে যুবক এজাহার মিয়াকে তুলে নিয়ে যান এসআই রায়হান। রাতভর তাকে মারধরের পর সীতাকুণ্ডে লিঙ্ক রোডে নামিয়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালে মৃত্যু হয় এজাহারের।
এই ঘটনায় এজাহার মিয়ার ভাই আলমগীর হোসেন মানিক এসআই রায়হান ও তার ভগ্নিপতিকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে। গত ২৭ অক্টোবর তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন আদালত।