কর্ণফুলী দূষণ: এস আলম গ্রুপের কারখানাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা
৩০ অক্টোবর ২০১৯ ২১:১৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: কারখানা থেকে তরল বর্জ্য ফেলে কর্ণফুলী নদীর পানি দূষণ করার অপরাধে এস আলম গ্রুপের একটি কারখানাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদফতর।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসাইন এস আলম সুগার রিফাইন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-১ কারখানাকে এই জরিমানার আদেশ দেন।
পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরীর নেতৃত্বে একটি টিম গত ১১ সেপ্টেম্বর কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগরে এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-১ এর কারখানা পরিদর্শনে যান। কারখানার পাশ থেকে কর্ণফুলী নদীর পানি সংগ্রহ করে অধিদফতরের ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। পরে পরিদর্শন টিমের পক্ষ থেকে পরিচালকের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
মো. মোয়াজ্জেম হোসাইন সারাবাংলাকে বলেন, ‘এস আলম কারখানা ঘুরে পূর্ণমাত্রার উৎপাদন দেখা গেছে। তবে তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) বন্ধ পাওয়া গেছে। দেখা গেছে, কারখানা থেকে বর্জ্য পরিশোধন না করে সরাসরি ফেলে দেওয়া হচ্ছে কর্ণফুলী নদীতে। নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করে আমরা তরল বর্জ্য নদীর পানিতে মেশার প্রমাণ পেয়েছি। এর ফলে নদীর জীববৈচিত্র্যকে মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলা হয়েছে।’
সূত্র জানায়, পরিদর্শনের পর গত ১২ সেপ্টেম্বর কারখানা কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দেয় পরিবেশ অধিদফতর। নোটিশে ৩০ সেপ্টেম্বর নদীর পানি দূষণের ওপর শুনানিতে হাজির থাকতে বলা হয়। এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-১ এর পক্ষ থেকে সময় চেয়ে আবেদন করা হলে ৩০ অক্টোবর শুনানির সময় পুনঃনির্ধারণ করা হয়।
মোয়াজ্জেম হোসাইন সারাবাংলাকে আরও বলেন, ‘আজ (বুধবার) শুনানিতে কারখানার বিরুদ্ধে পরিদর্শনে পাওয়া দূষণ সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করা হয়। দূষণের অপরাধে তাদের ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতে দূষণ রোধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে মর্মে অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়েছে।’
এর আগে ২০১৪ সালের এপ্রিলে পরিবেশ দূষণের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করে পরিবেশ অধিদফতর। কারখানাগুলোর মধ্যে এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলস লিমিটেডকে এক কোটি ৮০ লাখ ৪০ হাজার টাকা, এস আলম স্টিল মিলস এবং চেমন ইস্পাত লিমিটেডকে ৩৩ লাখ ৬৯ হাজার ৬শ টাকা, এস আলম ভেজিটেবলকে এক লাখ চার হাজার টাকা, এস আলম কোল্ড রোল স্টিল মিলসকে ২২ লাখ ৪৬ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়।