Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘নারীরা পিছিয়ে থাকলে প্রকৃত এসডিজি অর্জন সম্ভব নয়’


৩১ অক্টোবর ২০১৯ ১৯:৫৯

ঢাকা: দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীরা পিছিয়ে থাকলে প্রকৃত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, অসমতা ও বৈষম্য দূর করে নারীদেরকে উন্নয়নের মূল স্রোতে সম্পৃক্ত করতে হবে। কারণ দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীদের পিছিয়ে রেখে প্রকৃত এসডিজি অর্জন সম্ভব নয়। সুযোগ ও সামর্থ্যের সমন্বয়ের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হবে। দারিদ্র্যের দুষ্ট চক্র থেকে বের করে আনতে হবে নারীদের। তবেই অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পাশাপাশি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ২০৩০-এর প্রতিশ্রুত স্লোগান ‘কেউ পিছিয়ে থাকবে না লক্ষ্য পূরণ হবে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) অনুষ্ঠিত ‘হিউম্যান এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড অ্যাটেইনিং সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস ইন বাংলাদেশ: দ্য কেসেস অব উইমেন অ্যান্ড মার্জিনাল কমিউনিটি’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

স্পিকার বলেন, বিশ্বায়নের এ যুগে নব প্রজন্মের শিক্ষার্থীরাই পরিবর্তনের রূপকার। জনগণের জীবনমানের পরিবর্তন আনয়নে নতুন প্রজন্মকে তাদের সৃজনশীল মেধা ও জ্ঞানকে কজে লাগাতে আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, আজকের মেধাবী যুবশক্তি সমাজে বয়ে আনতে পারে ইতিবাচক পরিবর্তন। কেননা তারাই ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেবে। বিশ্বের যেকোনো ঘটনা এখন আর ভৌগোলিক সীমারেখায় আবদ্ধ নয়। তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে যেকোনো ঘটনাই সীমান্তের সীমা ছাড়িয়ে মুহূর্তের মধ্যে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ছুঁয়ে যায়। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব, শরণার্থী সমস্যা, বৈষম্য ও অসমতা— এসব বিষয় এখন বৈশ্বিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এসব সমস্যা মোকাবিলায় প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সম্মিলিত প্রয়াস। এক্ষেত্রে তরুণ প্রজন্মকে মেধার স্বাক্ষর রাখতে হবে।

বিজ্ঞাপন

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আরও বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও এসডিজির লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক সব সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান এখন সুদৃঢ়। গত ১০ বছরে দারিদ্র্য ৪০ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। এসব অর্জন সম্ভব হয়েছে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের কারণে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় নিশ্চিত করা হয়েছে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ নানা সুবিধা। বর্তমানে জিডিপি ৮ শতাংশ, যা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে ওঠার পূর্বাভাস।

স্পিকার আরও বলেন, বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে ও খাদ্য নিরাপত্তায় নারীর অবদান ৭০ ভাগ। গৃহস্থালী কাজ থেকে শুরু করে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাতকরণে রয়েছে নারীর অসামান্য ভূমিকা। নারীর এ অবদানকে যথাযথ সম্মান দিলেই অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সুরক্ষিত হবে। এসডিজি লক্ষ্য পূরণের মধ্য দিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যেই প্রতিষ্ঠিত হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা।

বিইউপি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মেধা, জ্ঞান ও সৃজনশীলতা চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে উল্লেখ করে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বাঙ্গীন সফলতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে বিইউপি উপাচার্য মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী ও উপউপাচার্য এম আবুল কাসেম মজুমদার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এসডিজি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস বিইউপি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর