যারা মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ নিয়ে কাজ করেন তাদের নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত
২ নভেম্বর ২০১৯ ২০:৪৩
ঢাকা: তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। কিন্তু, পরিতাপের বিষয়, আমরা ধীরে ধীরে আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছি। যন্ত্রের সঙ্গে কাজ করতে করতে যন্ত্রের মতই অনুভূতিহীন হয়ে পড়ছি আমরা। একারণে যারা দেশ, সমাজ নিয়ে কাজ করেন, শিল্প-সাহিত্য-মানবিক মূল্যবোধ নিয়ে চর্চা করেন, তাদের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত।
শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে স্বাধীনতা ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলামের জীবন নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. রফিকুল ইসলামকে জীবন্ত ইতিহাস বর্ণনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া স্বল্পভাষী প্রাজ্ঞজন তিনি। যিনি আমাদের সামনে এক দেশপ্রেম ও কর্মবীরত্বের অনন্য উদাহরণ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষক তিনি। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে ড. রফিকুল ইসলামকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির দায়িত্ব দিয়েছেন’, বলেন মন্ত্রী।
স্বাধীনতা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. জীন্নাত ইমতিয়াজ আলী এবং কবি ও রাইটার্স ক্লাবের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ নূরুল হুদা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো: মুরাদ হোসেন জুলকারনাইন।
অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ১৯৫৮ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা ও নজরুল গবেষক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বন্দীশিবিরে নির্যাতিত হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম নজরুল অধ্যাপক ও ঢাবি’র নজরুল-গবেষণা কেন্দ্রের প্রথম পরিচালক।
স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, বাংলা একাডেমি ও নজরুল একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত ড. রফিকুল ইসলামকে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সরকার জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে সম্মাননা দেয়।