হাজারীবাগে ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় ১০ আসামি রিমান্ডে
৩ নভেম্বর ২০১৯ ১৭:২৫
ঢাকা: রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় বান্ধবীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় কলেজ ছাত্র আরিফুল ইসলাম সজল (২০) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার ১০ আসামিকে দুই দিন করে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার (২ নভেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদা আক্তার এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ড যাওয়া আসামিরা হলেন, মো. মিরাজ (২২), মো. নয়ন (২৪), মো. পারভেজ (২০), সজিব শরীফ (২২), মো. বেলাল হোসেন শুভ (২০), মো. ইমন (১৯), মো. রবিউল আওয়াল (১৮), মো. রবিউল আওয়াল (১৯), সাগর (২০) ও মো. মহিউদ্দিন নূর (২২)।
উত্যক্তর প্রতিবাদ করায় কলেজছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) কাজী শরিফুল ইসলাম শনিবার আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তের স্বার্থে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, গত ২৯ অক্টোবর রাতে সজল হাজারীবাগ রায়েরবাগ এলাকায় তার বান্ধবী সানজিদা আক্তার দোলনের সঙ্গে দেখা করতে যায়। হাজারীবাগ ব্রিজের ঢালে ষড়কুঞ্জের রাস্তার পাশে সে যখন তার বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলছিল ওই সময় দুই-তিনজন যুবক তাদের উদ্দেশে বাজে মন্তব্য করে। এক পর্যায়ে সজল ও দুষ্কৃতিদের সঙ্গে বাগ-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এরপর দুষ্কৃতিরা যোগসাজশে সজলকে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। সঙ্গে থাকা সজলের বান্ধবী তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সজলকে মৃত্য ঘোষণা করেন। সজলের দাফন সম্পর্ণ হওয়ার পর গত ৩০ অক্টোবর বাদী হয়ে তার বাবা মামলাটি দায়ের করেন।
আবেদনে আরও বলা হয়, ওই ঘটনার আশেপাশে বিভিন্ন জায়গায় থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গত ১ নভেম্বর ১০ আসামিদের গ্রেফতার করেন। গ্রেফতার করার পর আসামি প্রথামিকভাবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। স্থায়ানীও সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা খুবই দুর্ধর্ষ প্রকৃতির। তাদের সহাযোগীরা এলকায় বিভিন্ন জায়গায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করে থাকে। ঘটনাস্থালে আসামিদের নৈরাজ্য সৃষ্টির পিছনে কোনো মাদদদাতা আছে কি না যা জানা অব্যশক। মামলাটির সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত, মূল রহস্য উদঘাটন ও ন্যায় বিচার স্বার্থে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার ও সঠিক নাম-ঠিকানা যাচাইয়ের লক্ষ্যে রিমান্ডে নিয়ে ব্যপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এ রিমান্ডের প্রার্থনা করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর সজলকে হাজারীবাগ থানার বেড়ীবাধ সংলগ্ন ষড়কুঞ্জ নতুন ব্রিজের ওপর দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। ওই ঘটনার পরদিন ৩০ অক্টোবর নিহতের বাবা মো. শহিদুল ইসলাম চুন্নু বাদী হয়ে হাজারীবাগ থানায় ১৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।