ঢাকা: দক্ষ মানবসম্পদ গঠন, জনশক্তি রফতানি ও বেকারত্ব দূর করার লক্ষ্যে ‘জাতীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিল ব্যবহার নীতিমালা’র খসড়া প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (৪ নভেম্বর) তেঁজগাওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি জানান, জাতীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিল সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতেই এই নীতিমালা। যার মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাহিদার ভিত্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা হবে। নীতিমালার আলোকে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং জাতীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিল গঠন করা হবে।
তিনি আরও জানান, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতায়, দক্ষতা উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, কার্যক্রম, গবেষণা, সমীক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে আর্থিক অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে। এরই মধ্যে অর্থবিভাগ জাতীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন কোম্পানি তহবিল গঠন করেছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রস্তাবিত নীতিমালায় জাতীয় মানবসম্পদ তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ দিতে যোগ্য প্রতিষ্ঠান, কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ প্রদানকারীদের নির্বাচন প্রক্রিয়া, অর্থ বরাদ্দকারী প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতা নির্ধারণ, প্রশিক্ষণ ও বৃত্তি দেওয়ার মানদণ্ড, দক্ষতা ও উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পর্কিত গবেষণা, সমীক্ষা ও উদ্ভাবন কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান তহবিলের জন্য আবেদন প্রক্রিয়াকরণ, আবেদন নাকচ করা ও গ্রহণের বিষয় রয়েছে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এই তহবিল সুষ্ঠুভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীকে দক্ষ ও জনশক্তিতে রূপান্তর করার চলমান প্রক্রিয়া আরও বেগবান হবে। জনশক্তি রফতানি বাড়বে; দক্ষ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকার সমস্যা নিরসন হবে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে মনে করছে সরকার। এই নীতি অনুসরণ ও অর্থ বরাদ্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অধিকতর স্বচ্ছতা বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়াও বাংলাদেশ নেপালের মধ্যে স্বাক্ষরিত আয়ের ওপর দ্বৈত করারোপন পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধ সংক্রান্ত চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বিনিয়োগ, বাণিজ্য, সংস্কৃতির আদান-প্রদানে গত ৫ মার্চ এ চুক্তি সই হয়।
ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সোমবারের বৈঠকে গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকের সিদ্ধান্ত উপস্থাপন করা হয়। গত তিন মাসের বৈঠকে ৫৩টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩১টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়েছে। ২২টি বাস্তবায়নাধীন। ৫টি আইন সংসদে পাস হয়েছে। ৫টি নীতি ও কর্মকৌশল অনুমোদিত হয়েছে। ২টি চুক্তি ও সমঝোতা সই হয়েছে।
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম