টাকা ফেরত পেতে অর্থমন্ত্রীর দ্বারস্থ পিপলসের আমানতকারীরা
৪ নভেম্বর ২০১৯ ১৮:৫৮
ঢাকা: দ্রুত সময়ের মধ্যে নিজেদের টাকা ফেরত পেতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে দেখা করেছেন পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের (পিএলএফএস) আমানতকারীরা। এ সময় তারা নিজেদের হতাশা ও অসহায়ত্ব তুলে ধরেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী বিনিয়োগকারীদের টাকা দ্রুত ফেরত দিতে ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান আমনতকারীরা।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে তার দফতরে পিএলএফএসের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় তাদের দাবি ছিল- পিপিলস লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস (পিএলএফএস) অবসায়ন (বন্ধ) প্রক্রিয়া বন্ধ করা এবং ক্ষুদ্র ও ব্যক্তি আমানতকারীদের সঞ্চয় আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
সাক্ষাৎ শেষে পিএলএফএসের পক্ষে আতিকুর রহমান আতিক গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘পিপলস লিজিংয়ের ক্ষুদ্র আমানতকারীরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ রেখে এখন তা ফেরত না পেয়ে চরম অসহায় অবস্থায় দিন পার করছে। তারা কোথায় গেলে এই টাকা ফেরত পাবে, সেটার কোনো নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় হাজারও আমানতকারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অনিশ্চিত জীবন-যাপন করছে। এই টাকা থেকে অনেক অবসরপ্রাপ্ত মানুষের সংসারের ব্যয় নির্বাহ, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া ও চিকিৎসা খরচ চলত। এখন সব বন্ধ আছে।’
আমানতকারীদের অভিযোগ, একটি অসাধু চক্র সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা মাফিক আমাদের সর্বশান্ত করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। তারা বিভিন্ন কৌশলে, নামে-বেনামে অর্থ বাগিয়ে নিয়েছে। এখানেই তারা ক্ষ্যান্ত হয়নি। পরিকল্পনা মাফিক তারা এই প্রতিষ্ঠানটিকে অবসায়নের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। আমরা ভীত যে, এভাবে এগোতে থাকলে এই চক্র সব দায় দেনা থেকে মুক্তি পাবে এবং শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাবে। আমাদের সব সঞ্চয় লুট করে এই লিজিংয়ের পরিচালকসহ অন্যরা আরাম-আয়েশে জীবন যাপন করছে। বিদেশে তারা সেকেন্ড হোম বানাচ্ছে।
এ রকম পরিস্থিতিতে অর্থমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের আশায় আছেন জানিয়ে আতিকুর রহমান বলেন, ‘তার কাছ থেকে এমন পদক্ষেপ আশা করছি যাতে আমাদের জীবন বাঁচে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।’
এ সময় আমানতকারীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রশান্ত কুমার দাস, রানা ঘোষ, সামিয়া বিনতে মাহবুব, আবু নাসের বখতিয়ার ও কামার আহমেদ।
সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম