Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পর্যটন ভবন নির্মাণে ব্যয় বাড়ছে ১৬ কোটি টাকা


৪ নভেম্বর ২০১৯ ২৩:৪৩

ঢাকা: ব্যয় ও মেয়াদ বাড়ছে পর্যটন ভবন নির্মাণ প্রকল্পের। এর আগে প্রকল্পটির মূল ব্যয় ছিল ৬২ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সেখান থেকে ১৬ কোটি ১৯ লাখ ৫৭ লাখ টাকা বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৭৯ কোটি ০১ লাখ টাকা। এদিকে প্রকল্পটির ব্যয়ের পাশাপাশি বাড়ছে সময়ও। ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা থাকলেও এখন এক বছর বাড়িয়ে ২০২০ জুন পর্যন্ত করা হচ্ছে।

সংশোধনটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের জন্য ১৩তলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন এবং আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন প্রধান কার্যালয় নির্মাণ এবং একটি উন্নত ও মানসম্মত কাজের পরিবেশ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্পের মূল কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- ১১ হাজার ৮১৪ বর্গমিটার অফিস ভবন নির্মাণ, ৫২০ দশমিক ৩০ বর্গমিটার অভ্যন্তরীণ রাস্তা, ১ হাজার ৫১টি আসবাবপত্র সংগ্রহ, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি সংগ্রহ, রুফটপ রেস্টুরেন্ট ও বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, আগারগাঁওয়ের শেরেবাংলা নগরে পর্যটন ভবন প্রকল্পটি প্রথমবারের মতো সংশোধন করা হচ্ছে। প্রক্রিয়াকরণ শেষে প্রস্তাবটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির মঙ্গলবারের (৫ নভেম্বর) সভায় উপস্থাপনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

প্রকল্প সংশোধনের কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সদর দফতরকে একটি আধুনিক ভবন হিসাবে নির্মাণের জন্য আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক স্থাপত্য সন্নিবেশ, ভবনের প্রবেশ এলাকা ও বাহিরের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য সাদাকালো মসৃণ সিমেন্ট ও স্টিল সাটারের ব্যবহার সংযোজন, প্রাকৃতিক আলো প্রবেশ ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বেইজমেন্টে প্রবেশের র‌্যাম্পের উপর টেম্পারড গ্লাস স্থাপন কাজ সংযোজন, ভবনের অভ্যন্তরে ইটের পার্টিশান দেয়ালের পরিবর্তে ১০ এম এম থিক ক্লিয়ার গ্লাস পার্টিশন উইথ ফরেস্টটেড পেপার কাজ অন্তর্ভুক্তি, ভবনটিকে এনার্জি সাশ্রয়ী করার জন্য প্রস্তাবিত স্থাপত্য নক্সায় ভবনের দক্ষিণ দিকে অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেমসহ লো-হিট ইমিশন গ্লাস দ্বারা আচ্ছাদন কাজ অন্তর্ভুক্তি এবং বাইরের বৈদ্যুতিক কাজের পরিধি বৃদ্ধি ও নতুন অঙ্গ হিসেবে ডাটা সেন্টার স্থাপন করা হবে।

বিজ্ঞাপন

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পর্যটনব বর্তমান বিশ্বে দ্রুত বর্ধনশীল বাণিজ্যিক কার্যক্রম। পর্যটন শুধু শিল্প নয়, বরং কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র নিরসনের অন্যতম মাধ্যম। পর্যটন শিল্প বিকাশের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। এ দেশের স্বল্প ভৌগোলিক আয়তনে অনেক বেশি পর্যটন আর্কষণ রয়েছে। ফলে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা বাংলাদেশের পর্যটনের আকৃষ্ট হচ্ছে। বাংলাদেশে আছে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার, সাগর কন্যা খ্যাত কুয়াকাটা, কোরাল দ্বীপ সেন্টমার্ন্টিন, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন, কাপ্তাই লেক, সিলেটের পাহাড়ি চা বাগান, সুনামগঞ্জের  হাওর, ময়মনসিংহের গারো পাহাড়, সিলেটের খাসিয়া-জৈন্ত্যা পাহাড় এবং সর্বোপরি পার্বত্য চট্টগ্রামের অপূর্ব নৈসর্গিক সৌন্দর্য ইত্যাদি।

রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ বলে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন গঠিত হয় এবং ১৯৭৩ সালে কার্যক্রম শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্টসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে আসছে। এছাড়া পর্যটন সংক্রান্ত সহায়ক কার্যাদি সম্প্রসারণ ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। প্রধান কার্যালয় ভবন না থাকায় বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কর্ম সম্পাদনে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। সেজন্য ঢাকার শেরেবাংলা নগরে প্রশাসনিক এলাকায় বিপিসির প্রধান কার্যালয় নির্মাণের জন্য সরকার ২০ কাঠা জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে। এই জায়গায় প্রধান কার্যালয় ভবন নির্মাণের জন্য এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।

এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য শামীমা নার্গীস পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ১৩ তলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক সুবিধাদি সংবলিত প্রধান কার্যালয় নির্মাণ এবং বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও প্রসারে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য একটি উন্নত ও মানসম্মত কাজের পরিবেশ সৃষ্টি সম্ভব হবে।

পর্যটন করপোরেশন পর্যটন ভবন পর্যটন ভবন নির্মাণ প্রকল্প বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর