Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রবাসীদের ভোটার করার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু আজ


৫ নভেম্বর ২০১৯ ০৯:৫৬

ঢাকা: প্রবাসীদের ভোটার করার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা এদিন দুপুর পৌনে তিনটায় ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধনের কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।

অন্যদিকে, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ মালয়েশিয়ার পুত্রাজায়াতে বাংলাদেশ দূতাবাসে উপস্থিত থেকে মালয়শিয়ায় থাকা প্রবাসীদের অনলাইনে ভোটার হওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

ইসি সূত্র জানায়, প্রথম দিকে সিঙ্গাপুর প্রবাসীদেরকে পাইলট প্রকল্পের অংশ হিসেবে অনলাইনে ভোটার করার কথা চিন্তা করে ছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু সে দেশের সরকারের সাড়া না পাওয়ায় পরে মালয়শিয়া থাকা বাংলাদেশিদের প্রথম ভোটার করার প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।

এ ব্যাপারে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) কর্মকর্তা স্কোয়াড্রন লিডার কাজী আশিকুজ্জামান বলেন, ‘প্রবাসীদের ভোটার করার কার্যক্রম উদ্বোধনের সমস্ত প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। সিইসি এ কার্যক্রম উদ্বোধন করার পর থেকেই মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনলাইনের ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।’

ইসি সূত্র জানায়, প্রবাসী বাংলাদেশীরা services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের পর সেই সব আবেদন সঠিক কিনা, ইসি তা কেন্দ্রীয়ভাবে যাচাই করবে। যাচাইবাছাই শেষে ইসির কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট দেশে গিয়ে যোগ্য ও সঠিক আবেদনকারীদের ছবি তোলাসহ ফিঙ্গার প্রিন্ট ও চোখের মনির ছাপ (আইরিশ) গ্রহণ করবেন।

ইসি সূত্র জানায়, মালয়েশিয়া ছাড়াও যুক্তরাজ্য, দুবাই ও সৌদি আরবের প্রবাসীরা এই সুযোগ পাবেন। পরে পর্যায়ক্রম অন্যান্য দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও এই সুযোগ পাবেন। এজন্য ইতিমধ্যে ভোটার তালিকা বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিদেশে বসবাসরতরা সেই দেশে ইসির স্থাপিত রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রে গিয়ে কিংবা অনলাইনে ভোটার হওয়ার আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে তিনি সর্বশেষ যে এলাকায় বসবাস করেছেন বা নিজের অথবা বাবার বাড়ির ঠিকানায় ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে।

পরবর্তীতে তার আবেদন সেই এলাকার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্তের পর দশ আঙুলের ছাপ, চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি ও ভোটারের ছবি তুলে এনআইডি সরবরাহ করা হবে। এর আগে রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রে ও ইসির ওয়েবসাইটে দাবি-আপত্তির জন্য তালিকা দেওয়া হবে। এ সময়ের মধ্যে কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করা যাবে।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সাল থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে।একই সঙ্গে সেই তথ্য ডাটাবেজে সংরক্ষণ এবং সেই তথ্যের ভিত্তিতে জাতীয় পরিচয়পত্র দিচ্ছে ইসি। বর্তমানে নাগরিকদের ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবিও সংরক্ষণ করে রাখছে কমিশন। ২০০৭-২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরুর হয়। এরপর থেকে নতুন ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ, মৃতদের বাদ দেয়াসহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কাজ চলে। এছাড়াও ২০০৯, ২০১২, ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৭ সালে হালনাগাদ করা হয়। বর্তমানে ইসির তথ্যভাণ্ডারে ১০ কোটি ৪২ লাখেরও বেশি ভোটার রয়েছে।

টপ নিউজ প্রবাসী ভোটার ভোটার


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর