‘পোশাক খাতের সক্ষমতায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে’
৫ নভেম্বর ২০১৯ ১৩:৫১
ঢাকা: ‘তৈরি পোশাক খাতের উৎপাদন সক্ষমতা সুরক্ষায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের বিনিয়োগ আরও বাড়াতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে। শ্রমিকের স্বার্থ নিশ্চিত করাও জরুরি, কারণ তাদের সক্ষমতার উপর নির্ভর করে উৎপাদন। আর তৈরি পোশাক শিল্পের টেকসই অগ্রযাত্রায় জলবায়ু ঝুঁকিই বড় বাধা।’
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে শুরু হওয়া ‘সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরামে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। দ্বিতীয় বারের মতো এই ফোরামের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ (বিএই) এবং বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি বিজিএমইএ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন ১০০ এর বেশি গ্রিন ফ্যাক্টরি রয়েছে। কারখানা মালিকরা বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে চলছেন। কারখানাগুলো কমপ্লায়েন্স করা হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য বায়ারদের সহযোগিতা বাড়াতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বিশ্বে তৈরি পোশাক খাতের দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে। বাংলাদেশ বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও এগিয়ে যাবে।’
বাংলাদেশ অ্যাপারেল ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘এই সাসটেইনেবিলিটি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের অগ্রযাত্রা নিশ্চিতে স্পষ্ট দিক-নির্দেশনা দেবে। সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরামের পরবর্তী সংস্করণগুলোতে এই রোডম্যাপের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে।’ এই ফোরামের মধ্য দিয়ে সাসটেইনেবিলিটি রোডম্যাপ প্রস্তুত করা হবে বলেও জানান তিনি।
বক্তারা আরও বলেন, ‘দেশের পোশাক খাতের জন্য বিশ্ববাজারে টিকে থাকার চ্যালেঞ্জ যেমন রয়েছে তেমনি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যও রয়েছে। দুই দিক সামাল দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে পোশাক খাত।’
অনুষ্ঠানে বিশ্বের ২০টি দেশ থেকে ৫০ এর বেশি বক্তা পাঁচটি প্যানেলে আলোচনায় অংশ নেবে। আলোচনায় উঠে আসবে, মানবসম্পদ, স্বচ্ছতা, পানি, ক্রয় অনুশীলন ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ সাসটেইনেবিলিটির নানা দিক। এছাড়া ফোরামে আসা বিদেশি বক্তা ও দর্শনার্থীদের জন্য বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ সবুজ কারখানা পরিদর্শনের আয়োজন করেছে। যাতে তারা বাংলাদেশের সবুজ কারখানা এবং তাদের পরিবেশবান্ধব উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারে।