পোশাক ছাড়াও বাংলাদেশের ৬ খাত প্রতিশ্রুতিশীল: যুক্তরাষ্ট্র
৫ নভেম্বর ২০১৯ ১৯:৩৩
ঢাকা: পোশাক শিল্পের বাইরে বাংলাদেশের আরও ছয় খাতকে প্রতিশ্রুতিশীল হিসেবে শনাক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা (ইউএসএইড)। সংস্থাটির বেসরকারি খাত মূল্যায়নে (পিএসএ) প্রতিশ্রুতিশীল হিসেবে উঠে আসা খাতগুলো হলো— কৃষিবাণিজ্য (খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ), স্বাস্থ্যসেবা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং আউটসোর্সিং, হালকা প্রকৌশল, ওষুধ শিল্প এবং পর্যটন।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশি বেসরকারি খাত বিষয়ক কনসালটেশন প্রতিষ্ঠান ইনসপিরা অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড কনসালটেন্সি লিমিটেডের মাধ্যমে ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত পিএসএ পরিচালনা করে ইউএসএইড। এতে মোট ১৬টি প্রতিশ্রুতিশীল সম্ভাবনাময় খাত নিরীক্ষা করা হয়।
মূল্যায়নের অধীন বাকি খাতগুলো হলো— সিরামিকস, উদ্যোক্তা তৈরি, চামড়া ও চামড়াজাত দ্রব্য, চিকিৎসা সামগ্রী, প্লাস্টিক, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জ্বালানি দক্ষতা, জাহাজ নির্মাণ, চিংড়ি ও মাছ, টেলিযোগাযোগ এবং মোটরগাড়ি সংযোজন। তবে এই মূল্যায়নে পুরো জ্বালানি খাতসহ কিছু গতানুগতিক শিল্পখাত বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
পিএসএ’র ফলাফল বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক বহুমুখীকরণ সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন করে। পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরও এগিয়ে নিতে সরকার ও অন্যান্য অংশীদারের সঙ্গে বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততা আরও গভীর করায় সহায়তা করে।
ইউএসএইড ও অন্যান্য বিভাগের মাধ্যমে এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এই পিএসএ’র শনাক্ত অগ্রাধিকার খাতগুলোকে বিশ্লেষণ করবে। এরপর তারা এইসব খাতে বিনিয়োগ ও ব্যবসা সম্প্রসারণ করার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কৌশল অনুসন্ধান করবে।
বহুমুখীকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার নিদর্শন হিসেবে এই মূল্যায়ন প্রতিবেদন উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ইউএসএইড-এর উপ-প্রশাসক বনি গ্লিক এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিশন উপ-প্রধান জোঅ্যান ওয়াগনার।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের অর্থনীতির বহুমুখীকরণ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নতুন গতিসঞ্চারে সহায়তার জন্য কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা (ইউএসএইড)। সংস্থাটি বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্ব তৈরি করছে।